ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় তাসকিন

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় তাসকিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে গতবছর অক্টোবরেই বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদের টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারত। কিন্তু প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে চাননি বলে হয়নি। তবে এবার আর কেউই তাসকিনের টেস্ট অভিষেকে বাধা হচ্ছেন না। উল্টো তাকে টেস্ট অভিষেক করান হচ্ছে বলেই খবর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টেই তাসকিনের টেস্ট অভিষেক হয়ে যাবে। তাসকিনও টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষাতেই আছেন। কখন টেস্টে বল করবেন, তার জন্য রোমাঞ্চিতও। এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি দীর্ঘ পরিসরের খেলা খেলেছেন। তাও ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর আর কোন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই খেলেননি। ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে ২৩টি ওয়ানডে ও ১৪টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু এখনও তার টেস্টে খেলা হয়নি। যে খেলাটি তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই এবার পূরণ হতে চলেছে। মঙ্গলবার তাই তাসকিন বললেনও, ‘টেস্ট অভিষেক হলে একটা স্বপ্ন পূরণ হবে। নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে প্রথম টেস্ট খেলব, নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে হচ্ছে। তবে অন্য যে কোন জায়গায় হলেও নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতাম। কারণ, আমার টেস্ট খেলাটাই তো সৌভাগ্যের ব্যাপার।’ স্বপ্নের টেস্ট ম্যাচটি খেলবেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। যেখানে পেসারদের জন্য উইকেটে বিশেষ সুবিধা থাকে। তাসকিনের মতো গতিময় বোলারদের জন্যতো এ কন্ডিশনের উইকেট স্বর্গরাজ্যই। এমন উইকেটে টেস্ট খেলার স্বপ্নপূরণ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা তাসকিন জানান, ‘বোলাররা উইকেট দেখে খুব খুশি। সবুজ ও শক্ত উইকেট। বোলিংয়ের জন্য ভাল। আমারও ভাল লাগছে। এই উইকেটে বোলিংটা উপভোগই করব।’ কিউই ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারবেন বলেও জানান তাসকিন, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভাল বোলার আছে। আমাদের বিশ্বাস, এই বোলিংশক্তি নিয়ে আমরা ভাল কিছু করব। আমরা যে সেটি পারি, তা আগেও প্রমাণ করেছি। আমাদের পেস আক্রমণও কিন্তু ফেলনা নয়। সবুজ পিচ দেখে আমাদের ফাস্ট বোলাররাও রোমাঞ্চিত। আমাদেরও ভাল মানের ফাস্ট বোলার আছে। যাদের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থাকলেও মেধায় ঘাটতি নেই। আমাদের যা সামর্থ্য আছে, তার যদি যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে পারি, তাহলে যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে।’ টেস্টে খেলার সুযোগ করে নিতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাসকিনকে। তা স্মরণ করিয়ে দেন, ‘টেস্টে সুযোগ পেতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিসিবি থেকে শুরু করে দলের কোচিংস্টাফরা সবাই অনেক সাহায্য করেছেন। আমার জন্য আলাদা প্রোগ্রাম পর্যন্ত করা হয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করে বোলিং করার সক্ষমতা অনেক বাড়িয়েছি।’ সাড়ে তিনবছরেরও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলেননি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেননি। তা না খেলেই টেস্টে খেলতে নামবেন তাসকিন। এ নিয়ে তিনি ভাবছেনই না, ‘সত্যি বলতে কি, এটা নিয়ে (প্রথম শ্রেণীতে কম খেলা) আমি একদমই চিন্তিত নই। আমি যদি একটা প্রথম শ্রেণীর ম্যাচও খেলতাম, সেখানেও আমাকে ১৫-২০ ওভার বল করতে হত। তখনও আমি নিজের সেরা বোলিংটাই করতে চাইতাম। কাজেই আমি মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছি, অন্যরা বেশি খেলেছে, এটি নিয়ে অতটা চিন্তিত নই। এটি খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না। আমি মাঠে শতভাগ দিয়ে বল করার চেষ্টা করব। মাঠের বাইরে নিজের যতœ নেব।’
×