ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ান নেতার যাত্রাবিরতি অনানুষ্ঠানিক

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২ জানুয়ারি ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ান নেতার যাত্রাবিরতি অনানুষ্ঠানিক

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন জানুয়ারিতে মধ্য আমেরিকার কয়েকটি দেশ সফরে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রে পরিকল্পিত যাত্রাবিরতির বিষয়টিকে খুব একটা তাৎপর্যের সঙ্গে দেখছেন না। বেজিংয়ের সতর্কবাণী উচ্চারণ এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী টিমের সঙ্গে তার সাক্ষাতের গুঞ্জনের মধ্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনলাইনের। স্বশাষিত দ্বীপের প্রেসিডেন্ট শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তো যুক্তরাষ্ট্রে কোন সরকারী সফরে যাবেন না এবং সেখানে স্বাভাবিক যাত্রাবিরতি করবেন। তিনি বলেন, যাত্রাবিরতি যাত্রাবিরতিই। সাই ও তার পূর্বসূরিরা অতীতে একই ধরনের যাত্রাবিরতি করেছিলেন। তাই ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে এক নতুন তাৎপর্যপূর্ণ টেলিফোন সংলাপের পর তিনি হিউস্টন ও সানফ্রান্সিসকোয় যাত্রাবিরতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই টেলিফোন কলে প্রায় ৪০ বছরের নিয়মকে উপেক্ষা করা হয়। তাইওয়ানকে বেজিংয়ের ভূখ- হিসেবে দাবি করে। ১৯৭৯ সালে বেজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে এর সম্পর্ক নিচে নামিয়ে আনে। তারপরও দু’দেশ অনানুষ্ঠানিক ভিত্তিতে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। বেজিং এ ব্যবস্থার প্রতি সহিষ্ণুতা দেখালেও সতর্ক রয়েছে যে, ওয়াশিংটনের সমর্থনের কারণে চীনের তাইওয়ানকে পুনরেকত্রী করার প্রতি তাইওয়ানের প্রতিরোধ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। ট্রাম্প ও সাইয়ের মধ্যে টেলিফোন কলে বেজিং বিরক্ত। ট্রাম্প ‘এক চীন’ নীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর প্রশ্ন তোলার পর বেজিংয়ের ক্ষোভ বেড়েছে। এক চীন নীতিতেই যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে তাইওয়ানের সঙ্গে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যাত্রাবিরতি ঠেকানোর জন্য এবং আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা দ্বীপে ভুল সঙ্কেত পাঠানো পরিহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদরে ৭ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইয়ের সফরের আয়োজন করা হয়েছে আগেই। কিন্তু তাইওয়ান এর অবশিষ্ট কূটনৈতিক অংশীদারদের কাছ থেকে সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে বলে সাইয়ের এ সফরে এক নতুন তাৎপর্য দেখা দিয়েছে। তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে মাত্র ২১টি দেশের সঙ্গে। এ দেশগুলোর অধিকাংশই হচ্ছে মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের। প্রেসিডেন্ট সাই মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর বেজিং দ্বীপটির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ জোরদার করেছে। তার ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার নামমাত্র সমর্থন রয়েছে, যদিও প্রেসিডেন্ট বেজিংয়ের সঙ্গে তার আচরণে সতর্ক রয়েছেন এবং বর্তমান অবস্থান বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
×