ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শীর্ষে আমেরিকা দ্বিতীয় ফ্রান্স

বিশ্বে অস্ত্র বিক্রি কমলেও লাভ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

বিশ্বে অস্ত্র বিক্রি কমলেও লাভ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের

দুনিয়াজুড়ে গত বছর অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ কমলেও এ খাতে আয় বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সারাবিশ্বে মোট ৮০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে, আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই ৪০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বক্রি করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে চার বিলিয়ন ডলার বেশি। খবর ওয়েবসাইটের। সরবরাহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফ্রান্স বিক্রি করেছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, যা ২০১৪ সালের তুলনায় ৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। ‘কনভেনশনাল আর্মস ট্রান্সফারস টু দ্য ডেভেলপিং নেশনস ২০০৮-২০১৫’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের মতো গত বছরও উন্নয়নশীল দেশগুলোই ছিল অস্ত্রের মূল ক্রেতা। এর মধ্যে কাতার সবচেয়ে বেশি ১৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে গত বছর। মিসর ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে চুক্তি করেছে। পিছিয়ে নেই সৌদি আরবও, গত বছর তারা এ খাতে ব্যয় করেছে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অস্ত্র কেনার তালিকায় এর পরের দেশগুলোর নামÑ দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাক। অন্যদিকে বিক্রির তালিকায়, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের পর আছে রাশিয়া ও চীনের নাম। পরের স্থানগুলোতে আছে সুইডেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইসরাইল। রাশিয়া গত বছর ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এর বেশিরভাগ কিনেছে ভেনিজুয়েলা। ২০১৪ সালে অস্ত্র বিক্রি খাতে রাশিয়ার আয় ছিল ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। চীন গত বছর বিক্রি করেছে ছয় বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, যা তাদের ২০১৪ সালের আয়ের দ্বিগুণ। ন্যাটো জোটের মিত্র দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদনে তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। এর মধ্যে জার্মানি উন্নততর নৌ সরঞ্জাম আর যুক্তরাজ্য আধুনিক যুদ্ধবিমানের উৎপাদন বাড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাজারজাত করছে। অবশ্য বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বজায় থাকায় অস্ত্র কেনাবেচায় একটি বড় অংশ বাকিতে চলছে বলে এ কংগ্রেসনাল প্রতিবেদনের অন্যতম রচয়িতা ক্যাথরিন এ থিওহারি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি পলিসির এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজেট ঘাটতিতে উদ্বিগ্ন অনেক দেশই নতুন অস্ত্র কেনার ইচ্ছা বাদ দিয়েছে বা কমিয়ে এনেছে। কিছু কিছু রাষ্ট্র কেবল বিদ্যমান অস্ত্রের আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা সহায়তার মধ্যেই তাদের সামরিক বাজেট সীমাবদ্ধ রেখেছে।’ গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সদস্যদের কাছে এ প্রতিবেদন দেয়া হয় বলে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।
×