ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিউইদের আতঙ্ক মুস্তাফিজ- সাকিব!

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

কিউইদের আতঙ্ক মুস্তাফিজ- সাকিব!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাকিব আল হাসান তো খেলবেনই। এতে কোন সন্দেহ নেই। পুরো সুস্থ সাকিব। শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান কী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে খেলবেন? তিনিও দলের সঙ্গে ঠিকঠাকমতো অনুশীলন করলেও এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। মুস্তাফিজের খেলা যে জরুরী। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে যে মুস্তাফিজের বোলিং সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে। কিউইদের হারাতে মুস্তাফিজই ভরসা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। আর এখন যে কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই তো ভরসাবান ক্রিকেটারের নাম সাকিব। এ দুইজন যে নিউজিল্যান্ডের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন, তা বুঝতে পারছেন নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসনও। সাকিব ও মুস্তাফিজকে নিয়ে বলেছেন, ‘এ বছর আইপিএলে ঝড় তুলেছে মুস্তাফিজ। দেখে মনে হয়েছে নতুন বড় তারকা পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে কেবলই ইনজুরি থেকে ফিরেছে, তাই জানি না আসন্ন সিরিজে ও কেমন করবে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব। ওর বাঁহাতি স্পিন এবং মিডল অর্ডারে ব্যাটিং দুটিই ধ্বংসাত্মক। আসলে বাংলাদেশ দলে এখন আরো অনেকে আছে যাদের নাম আমি বলতে পারি।’ ২০১২ সালে জন রাইটের জায়গায় নিউজিল্যান্ড কোচ হন মাইক হেসন। সেই থেকেই তার বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে দেখেছেন। টেস্ট সিরিজও ড্র হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতক কাঁপিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তাই এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নিয়েও ভীষণ সতর্ক হেসন। এ বছর টি২০ বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে মুস্তাফিজকে পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ‘কাটার মাস্টার’। কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে। হেসন তাই মুস্তাফিজের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন। হেসন শুধু মুস্তাফিজ ও সাকিবকে নিয়েই নয়, পুরো দলকে নিয়েও আছেন চিন্তায়। তিনি বলেছেন, ‘দেশে বাংলাদেশ খুবই সমীহ জাগানো দল। বিদেশেই-বা খারাপ বলি কী করে, গত বিশ্বকাপে তো দুর্দান্ত খেলে গেল। আসলে ওদের যদি আপনি সামান্য ছাড় দেন, তাহলে ওরা আপনাকে উড়িয়ে দেবে। গত তিন-চার বছরে এমন অভিজ্ঞতা বিশ্বের অনেক দলেরই হয়েছে।’ নিউজিল্যান্ড দলটিও আবার খুব ভাল খেলছে এমন নয়। এ বছর টি২০ বাদ দিলে ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটেই অনুজ্জ্বল কিউইরা। টেস্ট আর ওয়ানডেতে জয়ের চেয়ে হারের সংখ্যা বেশি। তার ওপর রয়েছে অসুস্থতা আর অফ ফর্ম। চোখে অস্ত্রোপচারের কারণে অভিজ্ঞ রস টেলরকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। তার পরিবর্তে ছয় বছর পর নিল ব্রুমকে ফেরানো হয়েছে। আর ফর্মের কারণে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের পরিবর্তে লুক রনকিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবার জানা যাচ্ছে, ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিকেও সব ম্যাচে খেলানো হবে না। বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলানো হবে। নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসনই যেমন বলেছেন, ‘তিন ফরম্যাটে খেলা খেলোয়াড়দের ভারসাম্য রেখেই খেলাতে হবে। বোলারদের ব্যাপারে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য।’ কিউই কোচ জানিয়েছেন, ‘৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটিতে খেলবেন না বোল্ট। সাউদিকে বিশ্রাম দেয়া হবে পুরো টি২০ সিরিজেই।’ সুযোগটি বাংলাদেশ দল ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। আর হেসন যে সাকিব ও মুস্তাফিজকে নিয়ে ভয়ে আছেন, এ দুইজন পারফর্ম করে দেখিয়ে দিতে পারলেই হয়।
×