যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহু জানিয়েছে, হ্যাকাররা সম্ভবত তাদের এক শ’ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৩ সালে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই সাইবার হামলাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ২০১৪ সালে ৫০ কোটি এ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য চুরির যে ঘটনা তারা প্রকাশ করেছিল এই হ্যাকিং তার থেকে ভিন্ন। হ্যাকাররা গ্রাহকের নাম, টেলিফোন নম্বর, পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এ্যাড্রেস চুরি করেছে। তবে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি হয়নি। এ বছর জুলাই মাসে মার্কিন টেলিকম প্রতিষ্ঠান ভেরাইজন ৪৮০ কোটি ডলারে ইয়াহুকে কিনে নেয়। ভেরাইজন বলছে, হ্যাকিংয়ের ঘটনা তদন্তে প্রতিষ্ঠানটি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। সাইবার হামলার দুটি ঘটনাই ঘটেছে ইয়াহুর সিইও মারিসা মেয়ারের সময়কালে। বিবৃতিতে ইয়াহু আরও জানায়, ২০১৩ সালের আগস্টে এই হামলাটি সংগঠিত হয়। এতে শত কোটির বেশি গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এই হামলাটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা। কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়নি। সর্বশেষ ঘটনা প্রকাশের পর ভেরাইজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা যে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে প্রভাবটা যাচাই করে দেখব। ইয়াহুর এক মুখপাত্র জানান, এক সময় ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় আধিপত্য বজায় রাখা প্রতিষ্ঠানটি তথ্য চুরি নিয়ে তদন্ত চলাকালে ভেরাইজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আর এই ঘটনা ক্রয়চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে না বলে তাদের বিশ্বাস। ইয়াহুর পক্ষ থেকে সব গ্রাহকের পাসওয়ার্ড ‘রিসেট’ করতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বুধবার জানায়, আগের বার সাইবার হামলার পেছনে থাকা হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ব¡াধিকার কোড এ্যাকসেস করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা ‘কুকি’ বানিয়ে পাসওয়ার্ড ছাড়াই একটি এ্যাকসেস দিয়ে গ্রাহকদের সব তথ্য জেনে যেতে পারে। আইন প্রণয়নকারী সংস্থা থেকে দেয়া তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাইয়ের সময় এই ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানিয়েছে তারা। এদিকে সর্বশেষ লেনদেনের খবর অনুযায়ী, ইয়াহুর শেয়ার মূল্য দুই দশমিক চার শতাংশ কমে শেয়ার প্রতি ৩৯ দশমিক ৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসির।
