ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যাটোর ভবিষ্যত নিয়ে মার্কিন মিত্রদের উদ্বেগ

পুতিনের বন্ধু টিলারসন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

পুতিনের বন্ধু টিলারসন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মঙ্গলবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি এক্সন মবিলের প্রধান রেক্স টিলারসনের নাম ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বন্ধু টিলারসনের আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিকের পদে আসীন হওয়ার সম্ভাবনায় মস্কোতে উচ্ছ্বাস ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। খবর গার্ডিয়ান ও বিবিসির। ন্যাটো ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই মার্কিন মিত্ররা টিলারসনের নিয়োগ নিশ্চিতকরণে সিনেটের শুনানির জন্য অপেক্ষা করছে। এক্সন মবিলের বিদায়ী প্রধান টিলারসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। পুতিনের পর রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি আইগর সেচিনকেও ব্যক্তিগত বন্ধু বলে গণ্য করেন টিলারসন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি রোজনেফতে টিলারসনের চেষ্টায় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এক্সন-মবিল। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে খোলাখুলি কথা বলেছেন। আর সে কারণে ২০১৩ সালে ক্রেমলিন তাকে ‘অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ’ খেতাবে ভূষিত করে। মার্কিন নির্বাচনের এক মাস পর মস্কোর আশা ম্লান এবং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপিয়ান রাজধানীগুলোর শঙ্কা প্রশমিত হয়েছে। কারণ নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে নীতি ব্যক্ত করেছিলেন তার চেয়েও বেশি প্রচলিত রীতি অনুসরণ করবে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ মনোনীত ব্যক্তিরা। দুই সপ্তাহ আগে সম্ভাব্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীতদের মধ্যে এগিয়ে ছিলেন- মিট রমনি, ডেভিড পেট্রাউস ও রুডি জুলিয়ানি। তবে তারা সবাই রাশিয়া ও পুতিনের কঠোর সমালোচক। ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকান প্রশাসন ঐতিহ্যগতভাবেই রাশিয়ার প্রতি বেশি কঠোর। তবে টিলারসনের মনোনয়ন সব হিসেব পাল্টে দিয়েছে। রাশিয়ার সরকারবিরোধী এক রাজনৈতিক ভøাদিমির মিলোভ বলেছেন, টিলারসনের নিয়োগ পুতিনের জন্য শতভাগ ভাল সংবাদ। পুতিন সরকারের প্রথমদিকে উপ-জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন মিলোভ। তিনি বলেন, এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি-রীতি, মূল্যবোধ ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব থেকে সরে গিয়ে পারস্পরিক লেনদেনের সর্ম্পকের দিকে অগ্রসর হবে। রাজনীতি ও পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে টিলারসনের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে তিনি এমন একটি কোম্পানির প্রধান, যেখানে ৭৫ হাজার কর্মচারী কাজ করেন এবং কোম্পানিটি ৫০টিরও বেশি দেশে ব্যবসা করে। ৬৪ বছর বয়সী টিলারসন এক্সন মবিলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইয়েমেন ও রাশিয়ায় কাজ করেছেন।
×