ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন

মিশ্র দ্বৈতে এনায়েত-নাবিলা ও তুষার-রত্না জুটি শেষ আটে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

মিশ্র দ্বৈতে এনায়েত-নাবিলা ও তুষার-রত্না জুটি শেষ আটে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ইউনেক্স-সানরাইজ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে’ বুধবার বাংলাদেশী শাটলারদের জন্য দিনটা ছিল আনন্দের ও আক্ষেপের- দুটোই। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে (উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামে) অনুষ্ঠিত খেলায় মিশ্র দ্বৈতে দুটি জয় এসেছে স্বাগতিক বাংলাদেশের। প্রথম খেলায় বাংলাদেশের তুষার কৃষ্ণ রায়-ইরিনা পারভীন রতœা জুটি হারিয়ে দেন নেপালের নবীন শ্রেষ্ঠ-জেসিকা গুরুং জুটিকে। এরপর বাংলাদেশের এনায়েত উল্লাহ খান-নাবিলা আক্তার জুটি নেপালী প্রতিপক্ষ দীপেশ ধামি এবং সুনয়না মুখিয়া জুটিকে ২১-১৭, ২১-১০ পয়েন্ট হারান। জয়ের পর জনকণ্ঠকে এনায়েত বলেন, ‘এই আসরেই ২০১১ সালে আমি এলিনা সুলতানার সঙ্গে জুটি বেঁধে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিলাম। ওই আসরে আমি আবার দলীয় অধিনায়কও ছিলাম। পাঁচ বছর পর একই আসরে একই ইভেন্টে আবারও সেমির দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলাম। যদিও এবার আমার জুটি ভিন্ন। যদিও আমার লক্ষ্য কিন্তু অভিন্ন- যেভাবেই হোক সেমিফাইনালে উঠতে হবে।’ জিতলেও প্রতিপক্ষ জুটির প্রশংসাই করেন এনায়েত, ‘হারলে ওরা বেশ ভাল খেলেছে। ওরা ছিল শক্তিশালী জুটি। তবে আমরা গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলে সাফল্য পাই। যেমন ওরা আক্রমণ করে খেলে পয়েন্ট পাচ্ছিল। এটা আমরা বন্ধ করে দিই পাল্টা আক্রমণাত্মক খেলা খেলে। এক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক শট খেলার মূল দায়িত্বটা আমিই পালন করি।’ এনায়েত আরও যোগ করেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে অবশ্যই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ^াসী ছিলাম। ম্যাচ শুরুর পর একবারের জন্যও মনে হয়নি আমরা হারতে পারি। বরং প্রথম সেট হেরে প্রতিপক্ষ জুটিই আত্মবিশ^াস হারিয়ে ফেলে। ফলে এতে আমাদের সুবিধাই হয়েছে।’ আগের দিন এনায়েত নাবিলা জুটি ১৯-২১, ২১-১০, ২১-১৩ পয়েন্টে হারান মালদ্বীপের হুসেন যায়ান শাহিদ-মাইসা ফাথুউল্লাহ ইসমাইল জুটিকে। এ প্রসঙ্গে এনায়েতের ভাষ্য, ‘মঙ্গলবারের ম্যাচে জিতলেও আমরা অনেক ভুল করেছিলাম। আজকের খেলায় সে ভুলগুলো যেন না হয় সেজন্য আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল।’ মঙ্গলবার এককে হেরে বিদায় নেয়ার পর বুধবার মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টেও হেরে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের তারকা শাটলার শাপলা আক্তার। এবাদুল হক চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হেরে যান অনেক লড়াই করেই, ১৯-২১, ২১-১৭, ২২-২০ পয়েন্টে। প্রতিপক্ষ ভারতের গৌরব প্রসাদ ভেঙ্কট-দেয়ানগান জুহি জুটি। তৃতীয় সেটে লিড নিয়েও এভাবে হেরে যাওয়ায় হতাশ শাপলা, ‘অল্পের জন্য জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে পারলাম না। আমাদের মনোসংযোগ স্থির ছিল না। প্রতিপক্ষ তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে। এমন হার সত্যিই হতাশার।’ আগেরদিন শাপলা এককে হেরে যান ভারতের রেশমা কার্তিকের কাছে। ইরিনা পারভীন রতœা তার মিশ্র দ্বৈত ম্যাচে জয়ের পর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এটাই আমার প্রথম অংশ নেয়া। খেলা শুরুর আগে প্রচুর নার্ভাস ছিলাম। তবে খেলতে খেলতে ক্রমশ নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠি এবং সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। তাছাড়া আমার পার্টনার তুষারও অনেক ভাল খেলেছে, আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।’ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১২ সালে জুনিয়র বিভাগে দ্বৈতে রানারআপ এবং ২০১৩ বাংলাদেশ গেমসে দ্বৈতে তাম্রপদক জেতা এবং সেনাবাহিনীতে ২০১৪ সাল থেকে খেলা শুরু করা রতœার সবশেষে কথা, ‘পরের ম্যাচ নিয়ে লক্ষ্য থাকবে ভাল খেলা এবং জেতা।’ এদিকে এককে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের বৃষ্টি খাতুন। এই টুর্নামেন্টের ২০১৪ আসরে মিশ্র দ্বৈতে সেমিফাইনালিস্ট ছিলেন তিনি। ভিয়েতনামের থি ফুয়ং থুই ত্রানের কাছে এককের ম্যাচে হেরে যান তিনি। আজ রতœাকে সঙ্গী করে দ্বৈতে লড়বেন তিনি।
×