ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক প্রধানের হুঁশিয়ারি

ইসলামিক স্টেটের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ইসলামিক স্টেটের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান

পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি) প্রধান ড. তাহিরুল কাদরি রবিবার এক সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন যে, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান। করাচীর নিশতার পার্কে অনুষ্ঠিত এক শান্তি সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। ড. কাদরি বলেন, খোদা না করুন! সিরিয়া ও ইরাকের পর আইএসের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তান। আইএস ক্রমান্বয়ে পাকিস্তানে তাদের গোড়া পত্তন করছে... এর প্রভাবও বিস্তৃত হচ্ছে। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে করাচীর মেয়র ওয়াসিম আখতার, পাক সরজমিন পার্টির নেতা ওয়াসিম আফতাবও উপস্থিত ছিলেন। শিখ, খ্রীস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সম্মেলনে যোগ দেন। পাকিস্তান পিপল’স পার্টির নেতা সৈয়দ কাইম আলী শাহকে সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান হলেও তাকে সেখানে দেখা যায়নি। কাদরির মতে, ইতোমধ্যে আইএস পাকিস্তানে তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিদেশী শক্তিসমূহ পাকিস্তানের উন্নয়ন চায় না। এজন্য তারা দেশে চরমপন্থী মতবাদ ও অসন্তোষ উস্কে দিচ্ছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কযুক্ত বলে দেখিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা ইসলামের সুনাম কলঙ্কিত করে যাচ্ছে ও পাকিস্তানের দরিদ্র লোকদের কাজে লাগাচ্ছে। আল কায়েদা ও আইএসের মতাদর্শ প্রায় একই, মানসিকতা এক, শুধু নাম বদলাবে। আমাদের সন্ত্রাসবাদের গ্রহণযোগ্যতা দূর করতে হবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে এজন্য তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে হবে। হাদিসের উদ্ধৃত দিয়ে কাদরি আরও বলেন, নবী মুহাম্মদ (সা) ১৪শ’ বছর আগে আইএসের উত্থান নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। অপর এক হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কালো পতাকার অনুসারীরা ইসলামিক রাষ্ট্র দাবি করবে। তারা লোকজনকে ইসলামের দাওয়াত দেবে। তবে তারা নিজেরা ইসলামের অনুসারী হবে না। এই লোকেরা ইরাকের মরুভূমিতে জন্ম নেবে ও ‘মানুষকে হত্যা কর’ বলে তাদের সেøাগান তুলবে। তারা সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সূচনা করবে। সে কারণে সিরিয়ানরা দেশান্তরী হতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু সম্পদের ওপর শত্রুদের তীক্ষè নজর পড়েছে।
×