ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শৃঙ্খলার বিষয়ে কোন ছাড় দেবে না বিসিবি

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

শৃঙ্খলার বিষয়ে কোন ছাড় দেবে না বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কমিটি বরাবরই এ বিষয়টি উচ্চৈঃস্বরে বলে আসছে। তা করেও আসছে। সেটি কী? শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোন ছাড় নয়। সবচেয়ে বড় উদাহরণ, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৬ মাস নিষিদ্ধ করা। এবার যখন সাব্বির রহমান রুম্মন ও আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মাঠের বাইরেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি সামনে চলে আসল, তখনও বিসিবি একই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সাব্বির ও আল আমিনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শাস্তিও দিয়েছে। কিন্তু এই শাস্তি কেন? তা এখনও বিসিবির কোন কর্মকর্তাই পরিষ্কার করছেন না। তবে যতদূর জানা গেছে, নারী ঘটিত ব্যাপারেই শাস্তি পেয়েছেন সাব্বির ও আল আমিন। বিপিএল চলাকালে অচেনা নারীকে হোটেল রুমে প্রবেশাধিকার দেয়াতেই সাব্বির ও আল আমিনের শাস্তি হয়েছে। তবে বিসিবি কিন্তু এ বিষয়টি এখনও খোলাসা করছে না। বুধবার যেমন বিপিএল গবর্র্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিককে এ নিয়ে সরাসরিই জিজ্ঞেস করা হয়, ঘটনা কী মেয়ে ঘটিত? মল্লিক জানান, ‘এটা তো আসলে বলার মতো কিছু না। কি ধরনের শৃঙ্খলাজনিত কারণ পাবলিকলি এটা আমরা বলতে চাচ্ছি না। বলতে চাচ্ছি না এই কারণে এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি, আমরা শাস্তি দিতে পেরেছি কি না, এটাই বড় বিষয়। এটার মাধ্যমে আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছি। কারণ দেখেন এই টুর্নামেন্টে কিন্তু অনেক বিদেশী খেলোয়াড় খেলছে। আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড় খেলছে। অনেক আপকামিং খেলোয়াড় আছে যারা সামনে জাতীয় দলে খেলবে এবং যে দু’জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়া হয়েছে তারাও জাতীয় দলের। তাদের দেখে কিন্তু ইয়াং খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখবে। খুব যে গুরুতর ঘটনা তাও না। বাট যে জিনিসটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এসব আমাদের করা উচিত না। এই ব্যাপারে আমাদের বোর্ড সভাপতির একটা কড়া নির্দেশ আমাদের ওপর সবসময়ই ছিল। আর বিপিএল আসলে তো আপনারা জানেন অনেক রকম কন্ট্রোভার্সির ব্যাপার থাকে। এসব ব্যাপারে আমরা আরও সিরিয়াস। যেহেতু এই টুর্নামেন্টটা আমাদের ট্যালেন্ট প্রডিউসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। আমরা চাই না এখানে কোন ইনসিডেন্স দেখে ইয়াং খেলোয়াড়রা ভুল পথে পা বাড়াক। এই জন্যই স্ট্যান্টসটা নেয়া।’ আর তাই সাব্বিরকে বিপিএলের পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ ও আল আমিনকে ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে মল্লিক বলেন, ‘দেখুন বিসিবিতে আমাদের কড়া ইনস্ট্রাকশন বিসিবি সভাপতির তরফ থেকে ছিল। ডিসিপ্লিনের বিষয়ে আমরা কোন সময় কোন ছাড় দিই না। আপনাদের মনে একটা কনফিউশন আসতে পারে এটাকি ডিসিপ্লিনারি ইস্যু নাকি ফিক্সিং ইস্যু। আমি পরিষ্কার করি এটা ফিক্সিং সংক্রান্ত কোন ঘটনা না। এটা পুরোপুরি একটা ইনডিসিপ্লিন ঘটনা ছিল। প্রত্যেকটা হোটেলে আমাদের দুই-তিনটা টিম কাজ করে। আমাদের এ্যান্টি করাপশন ইউনিট আছে, ইনটেলিজেন্স ইউনিট আছে এ্যান্টি করাপশনের আন্ডারে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে দেখেছি এবং দু’জন প্লেয়ারের হেয়ারিং হয়েছে। হেয়ারিংয়ের পরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণেই এই এ্যাকশনটা নেয়া হয়েছে আসলে। এটা খুবই পরিষ্কার, যেই অন্যায় করবে সেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আমরা তাকে শাস্তি দিচ্ছি।’
×