ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী আজ

বিজ্ঞানীর বাড়িতে প্রকৃতির মিলন মেলা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

বিজ্ঞানীর বাড়িতে প্রকৃতির মিলন মেলা

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার। তবে এই উপলক্ষে বিজ্ঞানীর বাড়িতে তেমন কোন কর্মসূচী নেই। বাড়িটিতে বিজ্ঞানীর নামে প্রতিষ্ঠিত স্যার জেসি বোস ইনস্টিটিউট এখন। এর কর্ণধার অধ্যক্ষ ফারহাদ আজিজ জানান, শুধু বিজ্ঞানীর ভাস্কর্যে ফুলের মালা দেয়া হবে এবং শিক্ষকরা বসে একটু আলোচনা করবে। প্রতিষ্ঠানে পিএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র থাকায় বড় অনুষ্ঠান হাতে নেয়া যায়নি। অধ্যক্ষ জানান, ভবনটি রক্ষায় হাইকোর্টের রুল হয়। পরে প্রতœতত্ত্ব বিভাগ ভবনটি অধিগ্রহণ করে সংস্কার শুরু করে। এই সংস্কার অম্পূর্ণ অবস্থায় গেল তিন মাস ধরে এই কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে এখনও এই শিক্ষালয়টির কলেজ শাখায় বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়নি। ভবনটির সামনে বিজ্ঞানীর ভাস্কর্য। এটি দেখেই বোঝা যায়- বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে। ইনস্টিটিউটের পাশেই করা হয়েছে পিকনিক ¯পট। এটির ফটকে টাইলসে ইংরেজীতে লেখা হয়েছে ‘স্যার জেসি বোস কমপ্লেক্স।’ এটির ভেতরে শিক্ষকদের বাসস্থানের পাশেই রয়েছে জাদুঘর। এখানে বিজ্ঞানীর ছবি, পারিবারিক ছবি, নিজের হাতে লেখা পত্রের কপিসহ নানান স্মৃতি স্থান পেয়েছে। আর পিকনিক ¯পটে নানা জীব-জন্তুর প্রতিকৃতি স্থাপন করে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। এটি শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল গ্রামের বিজ্ঞানীর বাড়ির বর্তমান অবস্থা। জগদীশের বাড়ি জুড়েই প্রকৃতির যেন মিলন মেলা বসেছে। শুধু বাড়িটি কেন রাঢ়ীখাল গ্রামই সবুজের মেলা বলা যাবে। ফাঁকে ফাঁকে নান্দনিক বাড়িঘর, পুকুর, পাকা ঘাটলা, গাছ-পালা সকলকে মুগ্ধ করবে। হেমন্তের প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন রূপ। রাঢ়ীখাল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাইদুজ্জামান খান বলেন, ‘পৃথিবীর আলোড়িত বিজ্ঞানীর গ্রামে বিজ্ঞানীর স¤পর্কেই অনেকই বিস্তারিত জানে না। তাই এই গ্রামে তার নামে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা তথা বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র করা জরুরী। কলকতায় অপার সার্কুলার রোডে বিজ্ঞান মন্দিরে যেভাবে বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে তা এখানেও করার দরকার।’ রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারী বলেন, ‘বিজ্ঞানীর গ্রামটি আরও ভাল কিছু করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে এত বড় কিছু করা সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজ জানান, ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বর্তমানে ১ হাজার ২শ’ ৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে কলেজ শাখায় বিজ্ঞান নেই। স্কুল শাখার বিজ্ঞান বিভাগটি অবহেলিত। বিজ্ঞান ল্যাব ব্যবহার হচ্ছিল না। এগুলো সচল করা হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রেণী কক্ষের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর দ্বিতল ভবন নির্মাণ করছিল। কিন্তু প্রায় দুুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাঃ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘বাড়ি এখন সুরক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর।’ এই বাড়ির একপাশে এখন পিকনিক ¯পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। যেখানে কৌতূহলী নানা শিক্ষার্থী আর দেশ-বিদেশী শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত।
×