ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিশোধের জয় ম্যানইউর

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

প্রতিশোধের জয় ম্যানইউর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলতে পারছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের জায়গা হয়েছে দ্বিতীয় সারির ইউরোপা লীগে। সেখানেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডাচ ক্লাব ফেয়েনর্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে শুরু হয়েছিল মিশন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নকআউট পর্বে যাওয়ার রেসে ভালভাবেই আছে রেড ডেভিলসরা। এ যাত্রায় বৃহস্পতিবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে জয় পেয়েছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে ফিরতি লেগে সেই ফেয়েনর্ডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানইউ। এই জয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানেও উঠে এসেছে জোশে মরিনহোর দল। ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরো আসরে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন ওয়েন রুনি। রুনির পাশাপাশি ইউনাইটেডের হয়ে গোল করেন জুয়ান মাতা ও জেসে লিনগ্রাড। আত্মঘাতী গোল হজম করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন ডাচ ক্লাবের গোলরক্ষক ব্র্যাড জোন্স। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রুনি। ইব্রাহিমোভিচের বাড়ানো বলে গোলটি করেন রুনি। এটি ইউরোপীয় আসরে ইংলিশ তারকার ৩৯তম গোল। ফলে গোলসংখ্যার দিক থেকে রুড ভ্যান নিস্টেলরয়কে টপকে যান তিনি। এখন ক্লাব ফুটবলের সর্বকালের সর্বাধিক গোলের অধিকারী ববি চার্লটনের চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে আছেন তিনি। এই জয়ে ইউরোপা লীগে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ পয়েন্টধারী ফেনারব্যাচের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ম্যানইউ। শেষ গ্রুপ ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে ইউনাইটেডের। বিরতির পর ৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাতা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে রুনির দেয়া বল থেকে সহজেই গোল করেন তিনি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন ফেয়েনর্ড গোলরক্ষক। ইব্রাহিমোভিচের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক জোন্স। ম্যাচের ৯০ মিনিটে লিনগ্রাডের চোখজুড়ানো শট ফেয়েনর্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়। ম্যাচ শেষে ম্যানইউ কোচ জোশে মরিনহো বলেন, আমি খুবই খুশি। প্রিমিয়ার লীগের মতো একই ধরনের পারফর্মেন্স করেছে খেলোয়াড়রা। তবে এখানে গোল বেশি এসেছে, পার্থক্য বলতে ওইটুকুই। স্পেশাল ওয়ান আরও বলেন, আমরা যখন ম্যাচ খেলতে নামি, তখন শীর্ষ দলের সঙ্গে চার পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। যে কারণে একটি হারে আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়তাম। তাই হাল্কা চাপ ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রা দারুণভাবে সেটি থেকে মুক্তি নিয়েছে।
×