ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে মোদি সরকার

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

সুপ্রীমকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে মোদি সরকার

নোট বাতিল নিয়ে বিরোধীদের চাপ তো আছেই। তার ওপর কেন্দ্রের আর্জিতে গতকাল ফের বেঁকে বসে শীর্ষ আদালত। নোট বাতিলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে যেসব মামলা হয়েছে, তার ওপর এখনই স্থগিতাদেশ দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের বেঞ্চ। কেন্দ্র আরও চেয়েছিল, বিভ্রান্তি এড়াতে এ সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি হোক একটা নির্দিষ্ট আদালতে। এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানি ২ ডিসেম্বর। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার নোটকা-ে কেন্দ্রকে বিঁধতে গতকালই প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে সুপ্রীমকোর্টে একটি আবেদন করেছে সিপিএম। নোট বাতিলের জেরে অব্যবস্থা চলতে থাকলে দেশে দাঙ্গা লেগে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছিল সুপ্রীমকোর্ট। এদিন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির দায়ের করা আর্জিতেও তারই ইঙ্গিত মিলেছে। পাশাপাশি ব্যাংকে পড়ে থাকা লাখ লাখ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ নিয়েও সুর চড়িয়েছে সিপিএম। সরকার কেন বড় বড় ঋণখেলাপীর নাম প্রকাশ করছে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিল সংক্রান্ত ঘোষণার পর সুপ্রীমকোর্ট এ নিয়ে তিনবার কেন্দ্রের সমালোচনা করল। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে কতটা কাজ এগিয়েছে, কেন্দ্রের কাছে গতকাল ফের জানতে চায় আদালত। এ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল’। কৃষকদের বাড়তি সুবিধা দিতেও কাজ অনেকটা এগিয়েছে বলে জানান রোহতাগি। পাশাপাশি, ব্যাক ও এটিএমের বাইরে টাকা তোলার লাইন কমছে বলেও দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রের যুক্তি, টাকার অভাব নেই। শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা পৌঁছে দেয়া নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু টাকা জমা পড়ল কতটা? গতকাল প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে এ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এরই মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ঢুকেছে। তার দাবি, ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই অন্তত ১৫ লাখ কোটি টাকা জমা পড়বে সরকারের খাতায়। জমার অঙ্ক নিয়ে শীঘ্রই সরকারী তরফে হলফনামা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
×