ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ খুঁজে পায় না! ;###;আল আমিন সাইবার পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়নি- জব্দ করা হয়নি কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক কোনকিছুই

ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২২ নভেম্বর ২০১৬

ধরাছোঁয়ার বাইরে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতার করা হয়নি আলআমিন সাইবার পয়েন্টের মালিক ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে। হরিণবেড় বাজারের এই দোকান থেকেই ধর্মীয় অবমাননার ছবি রসরাজের ফেসবুকে আপলোড, হামলার পরিকল্পনা, বৈঠক থেকে শুরু করে লিফলেট তৈরি ও বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে। অথচ ঘটনার ২৬দিন পরেও দোকানের কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক থেকে শুরু করে কোন কিছুই জব্দ হয়নি। পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে অপর পরিকল্পনাকারী স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ ও হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি। সেইসঙ্গে এজাহারে রসরাজকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার সময় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অনেকেই এখনও ধরা পড়েনি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলায় সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম চকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার মূল হোতাদের গ্রেফতার না করায় স্বস্তিতে নেই স্থানীয় সংখ্যালঘুরা। তারা বলছেন, ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্তদের গ্রেফতার করা হলেই হোতাদের নাম বেরিয়ে আসবে। থলের বিড়াল বের করে আনতে তাদের গ্রেফতারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও। তবে পুলিশ বলছে, হোতাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া আলআমিন সাইবার পয়েন্টে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। সোমবার পর্যন্ত এই দোকানে অভিযান পরিচালনার জন্য আদালতের কাছে পুলিশের পক্ষে অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সবাই নাসিরনগরের এমপি ও পশুসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক ও সদরের এমপি ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর অনুসারী। এই দুই নেতা তাদের অনুসারীদের রক্ষায় এখন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অপরাধীদের গ্রেফতার সম্ভব হচ্ছে না। মূলত জেলার এই দুই নেতার দ্বন্দ্বের কারণেই নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে জামায়াত-হেফাজতসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। অর্থাৎ স্থানীয়দের কাছে এটি পরিকল্পিত ও সর্বদলীয় হামলা বলে বিবেচিত। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ৮০ জনের বেশি আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফেসবুক ঘেঁটে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হরিণবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ। রসরাজের ফেসবুক আইডিতে ধর্মীয় অবমাননার ব্যঙ্গচিত্র আপলোড হওয়ার পর ফারুকই তা শেয়ার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ডাক দেন তিনি। ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের যে তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের একজন ফারুক। একটি স্থানীয় সূত্র জানায়, হরিণবেড় বাজারের আলআমিন সাইবার ক্যাফের মালিক বেনু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম রসরাজের পোস্টটি প্রথম কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করেন। পরে এগুলো ফটোস্ট্যাট করে এলাকায় প্রচার করেন। ২৯ অক্টোবর সকালে জাহাঙ্গীর আলমই তার সহযোগীদের নিয়ে রসরাজকে ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকের হাতে তুলে দেন। সেখান থেকেই নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই সময়ে হরিপুর এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ও তার ভাই কাপ্তানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। রসরাজের আইডি থেকে ব্যঙ্গচিত্র ২৯ অক্টোবর রাত এগারোটা ২৮ মিনিটে শেয়ার করেন ফারুক। এ সময় তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘নাসিরনগর হরিণবেড় গ্রামের একটি ছেলে পবিত্র কাবাঘরে শিবমন্দির বসিয়ে ব্যঙ্গ করে। ছেলেটির নাম রসরাজ দাস। তার বাবার নাম জগন্নাথ দাস। আজ শনিবার বেলা এগারোটায় ফেসবুকে রসরাজ দাসের টাইমলাইনে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোক দেখতে পেলে ফেসবুকেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। আমি এ খবর পেয়ে নাসিরনগর থানার এসআই আশরাফুল ভাইকে বিষয়টি অবগত করি। আমি এবং খালেদ মোবারক এলাকার আরও অনেককে নিয়ে রসরাজকে ধরে ফেলি। তারপর প্রশাসন হরিণবেড় আসে। রসরাজকে এসআই আশরাফের কাছে হ্যান্ডওভার করেছি। আমি এই কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক সাজা এবং ফাঁসি চাই।’ ৩০ অক্টোবর এলাকার বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে ছবি তুলে আরেকটি প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দেন ফারুক। এতে তিনি লেখেন, ‘সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা সেই কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে। এতে আমরা সমর্থন করি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকের ভাই কাপ্তান মিয়া হামলার দিন সকালে এলাকার মাদ্রাসাছাত্রসহ দুই শতাধিক লোক নিয়ে চৌদ্দটি ট্রাকে করে উপজেলা সদরে আসেন।’ ২৯ অক্টোবর শনিবার ভোর পাঁচটা ২৪ মিনিটে ছবির জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস রসরাজের ফেসবুক আইডিতে পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রথমেই আমি সকল মুসলিম ভাইদের কাছে ক্ষমা প্রাথর্না করছি, কারণ আমার অজান্তে কে বা কারা আমার আইডি থেকে একটা ছবি পোস্ট করেছে। কাল রাতে আমি মামুন ভাই আশু ভাই আর বিপুলের মাধ্যমে জানতে পারি ছবি পোস্টের কথা। তার আগ পর্যন্ত আমি কিছুই জানতাম না। বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গেই ঢুকে ডিলিট করি। যেখানে আমরা বসবাস করি হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই হিসেবে, সেখানে ওই রকম মন-মানসিকতা এবং দুঃসাহস অবশ্যই আমার নাই। আমি কেন? আমি মনে করি ওই মনমানসিকতা কারও নাই কারও থাকা উচিতও না। এছাড়া আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। ওইখানে আমার আইডি থেকে এমন ছবি আমার অজান্তে কিভাবে পোস্ট হলো কে বা কারা ওই কাজটা করল আমি জানি না। তাই সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ প্রশ্ন হলো একটি কথিত পোস্টের কোনপ্রকার সত্যতা যাচাই না করে সাম্প্রদায়িক হামলা ও উস্কানির নেপথ্যে আসলে কারা? জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রসরাজকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন এসআই কাউছার হুসাইন। এতে বলা হয়Ñ ‘২৮ অক্টোবর রাত নয়টা ১৬ মিনিটে আসামির ফেসবুক আইডি টাইমলাইনে হরিণবেড় এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন দেখতে পায় পবিত্র কাবা শরিফকে ব্যঙ্গ করে রসরাজ দাস ছবিটি পোস্ট করেছে। ফেসবুকে এই পোস্ট নিয়ে স্থানীয় মুসলিম জনতার মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ২৯ তারিখ দুপুর সোয়া দুটোয় এ বিষয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বেলা তিনটার সময় হরিণবেড় বাজারের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম, পিতা বেনু মিয়া, স্থানীয় জামাল খানের পুত্র সালাম খান, ইউনূস মিয়ার পুত্র ইসমাইল, রেনু মিয়ার পুত্র রবিউল হাসান, মাহমুদ, রিপন মিয়াসহ আট-দশজন লোক রসরাজকে মারধর করার সময় পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়।’ এদের প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। রসরাজকে পুলিশ নিয়ে গেলেও এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং তাকে নির্যাতনকারীরাই পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে শুরু করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৯ অক্টোবর শনিবার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিণবেড় বাজারের ‘আলআমিন সাইবার পয়েন্টে’ মৌলবাদীরা বৈঠক করে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেসবুকে দেয়া ধর্মীয় অবমাননার ছবি দিয়ে লিফলেট তৈরি করা হয়। সেগুলো এই দোকানেই ফটোকপি করা হয়েছে। এরপর বিতরণ করা হয় বাজারে। বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও মোখলেছুর রহমানের দোকান থেকে মাইক ভাড়া নিয়ে রাতে এলাকায় মাইকিং করে মৌলবাদী গোষ্ঠী। এতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। রসরাজের ফাঁসির দাবিতে সেদিন রাতে বাজারে মিছিল করে শতাধিক মানুষ। মিছিল থেকে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার উস্কানি দেয়া হয়। অনেকের ধারণা ফারুক ও জাহাঙ্গীরের যোগসাজশেই রসরাজের ফেসবুক আইডিতে ফটোশপের মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার ছবি আপলোড করা হয়েছিল। পুরো কাজটিই হয়েছে জাহাঙ্গীরের দোকান থেকে। হরিণবেড় বাজারের আলআমিন সাইবার পয়েন্টটি এখনও বন্ধ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হামলার রাত থেকেই দোকানটি বন্ধ দেখা যাচ্ছে। মালিক পলাতক। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তেমনি মাইকের দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। যদিও এদের কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত সাইবার পয়েন্টের কম্পিউটারসহ প্রযুক্তিগত কাজে ব্যবহৃত কোনকিছুই জব্দ করেনি। তাছাড়া যারা মাইকে চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিল তাদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর সোমবার জনকণ্ঠ’কে বলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া আলআমিন সাইবার পয়েন্টে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে সোমবার পর্যন্ত আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা আসামিকে ধরার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার পর থেকেই জাহাঙ্গীর আলম পলাতক। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আগে অভিযান নয়, আসামি ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। তাকে ধরলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, সাইবার পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটারসহ যন্ত্রপাতি জব্দ না হলে তাকে রক্ষার জন্য রাতের আঁধারে যে কেউ দোকান খুলে আলামত নষ্ট করে দিতে পারে। এতে এক সময় এই পরিকল্পনাকারী আইনের চোখে নির্দোষ প্রমাণিত হবে। তাই আদালতের অনুমতি নিয়ে দোকানের সবকিছু দ্রুত জব্দ করার দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যদেরও তার খোঁজ নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলার জন্য মাধবপুর থেকে ট্রাক ভাড়া করে সেখাকার জামায়াত ও হেফাজতের কর্মীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে লোকজন সংগ্রহ করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে এসব লোক জড়ো করা হয়। মাধবপুর ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে ভাড়ায় দুটি ট্রাক সরবরাহকারী নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অন্তত ১৫ ট্রাক মাধবপুর থেকে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টাকা দেয়া হয়েছিল। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তো আঁখি সাহেব। আঁখির ইউনিয়ন হরিপুরের বাসিন্দা এই ট্রাক মালিক বলেন, তার দুটি ট্রাকের ভাড়া দেয়া হয়েছিল দুই হাজার টাকা করে। আঁখির কর্মী দোকানদার জাহাঙ্গীর ও সুজন পাঠান মোটরসাইকেলে গিয়ে ট্রাকগুলো নিয়ে আসেন বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মী। হরিণবেড় বাজারে ‘আলআমিন সাইবার ল্যাব ও স্টুডিওর সামনের দোকানি অমৃত বিশ্বাস বলেন, দোকান মালিক জাহাঙ্গীর বিএনপির রাজনীতি করেন। তবে ইউপি নির্বাচনের সময় আঁখির সঙ্গেই ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান আঁখির সঙ্গে তার সখ্য। রসরাজের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে ‘আসামিকে আটককারী’ হিসেবে যে পাঁচজনের নাম এসেছে তাদের মধ্যে শঙ্করাদহ এলাকার ইসমাইলও আঁখির অনুগত বলে জানান তিনি। চেয়ারম্যান আঁখি ট্রাক ভাড়ায় নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও জাহাঙ্গীর ও সুজন যে তার কর্মী তা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কারা ট্রাক ধরাইছে আমি জানি না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন টাকা দেয়া হয়নি। তাছাড়া ছবিতে হামলাকারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যান আঁখিকে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে দলবল নিয়ে সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে ধরতে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।
×