ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পকে উদারতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার শিশুর চিঠি

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ২১ নভেম্বর ২০১৬

ট্রাম্পকে উদারতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার শিশুর চিঠি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদারতা, সহানুভূতি ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছে হাজার হাজার শিশু। সিয়াটলের বাসিন্দা মলি স্পেন্স সাবেহজামি ট্রাম্পের জয় লাভের পরদিন ফেসবুকে একটি গ্রুপের সূচনা করেন এবং এ বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। বর্তমানে গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির। ওয়াশিংটন পোস্টকে সাহেবজামি বলেন, কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়া তার নয় বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে আলোচনার সময় তার মাথায় এই পরিকল্পনা আসে। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প মুসলিম ও অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে বিদ্বেষমূলক অনেক মন্তব্য করেছেন যা ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছেন। ইরানী বংশোদ্ভূত মলি বলেন, ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যে তার ছেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সে বলেছে, কী কারণে উদারতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে তুমি কেন তার (ট্রাম্প) সঙ্গে কথা বলছ না? এরপরই মলি ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলার পরিকল্পনা করেন। মলি বলেন, আমি যেখানে বসবাস করি এবং ফেসবুকে আমার যেসব বন্ধুরা রয়েছে তারা বলেছে, শিশুদের মনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে গেঁথে গেছে ‘ট্রাম্প একজন ছোট লোক’ এবং তারপরও কেন তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করলেন তার কারণ তারা বুঝতে পারছে না। এ কারণেই আমি ফেসবুকে নতুন একটা পাতা খুলি। তার আশা, এই পাতায় শিশুরা ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ইতিবাচক লেখা লিখবে। আমরা ট্রাম্পের সমর্থক শিশুদেরও এই পাতায় লিখতে উৎসাহ দিচ্ছি। তারা চাইলে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখতে পারে এবং তাকে আরও উদার হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারে। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে কেউই নিখুঁত নয়। আমরা সবাই একমত যে, মানবিক দিক থেকে আমাদের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের আরেকটু দয়ালু এবং অন্যকে আরও সম্মান দেয়া প্রয়োজন। এখন সারাবিশ্ব থেকে শিশুরা ট্রাম্পের কাছে ‘উদার হওয়ার আহ্বান’ জানিয়ে চিঠি লিখছে এবং ছবি আঁকছে। এমনই একজন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা এ্যালিসন বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার ৯ বছর বয়সী ছেলে টমি আগ্রহের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর রেখেছেন। এ্যালিসন বলেন, টমি চিন্তাশীল ও নরম মনের ছেলে। নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের কিছু কিছু বক্তব্যে সে খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিল। এ বিষয়ে তার নিজস্ব মত কী সেটা তার নিজের ভাষায় প্রকাশে আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। টেক্সাসের বাসিন্দা লারা জানান, তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে নির্বাচনের পরদিন বিজয়ী প্রার্থী ট্রাম্পকে একটি চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয়। লারা বলেন, নারী, সংখ্যালঘু ও অসহায় মানুষদের নিয়ে ট্রাম্প যে ভাষায় কথা বলেছেন, তারপরও কেউ কেন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন সেটা নিয়ে আমার মেয়ে আমাকে অসংখ্য প্রশ্ন করে গেছে। আমি তার প্রশ্নের জাবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি তাকে তার অনুভূতির কথা লিখে ফেলার পরামর্শ দেই। সে তখন একটি চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার চিঠি আমাকে হতবাক করে দিয়েছে।
×