দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইর সাম্প্রতিক দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে ‘উল্লেখযোগ্য’ ভূমিকা ছিল। দেশটির প্রসিকিউটরগণ এ কথা জানিয়েছেন। দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট আস্থাভাজন চোই সুন সিল এবং অপর দুই সহকারী অভিযুক্ত হওয়ার পর চীফ প্রসিকিউটর লি ইয়ং রিয়ল বলেন, পার্ক একজন চক্রান্তকারী হিসেবে জড়িত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বিচার থেকে রেহাই পাবেন। তবে শীঘ্রই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খবর এএফপি/বিবিসির।
দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন জিউন হাই। বিরোধীরা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার জনসমর্থন ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তিনি জাতীয় টেলিভিশনে দুইবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বিরোধীরা তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন। রবিবার প্রেসিডেন্ট জিউন হাইর কার্যালয় থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি। এর আগে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু গত সপ্তাহে বিক্ষুব্ধ কৌঁসুলিরা জানান, তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নতুন একটি বিল পাস করেছে। বিশেষ কৌঁসুলি রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিদের কাছ থেকে এ মামলার দায়িত্ব বুঝে নিয়ে তা পরিচালনা করবেন। বিক্ষোভে থরথর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। ’৮০-এর দশকের পর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটিতে। শনিবার তুমুল বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সিউল। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ৫ লাখ লোক এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তবে পুলিশের দাবি, এ সংখ্যা অনেক কম। টানা তিন সপ্তাহ ধরে একই ইস্যুতে ছোট বড় বিক্ষোভ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। পদত্যাগের জন্য চাপ বাড়ছে জিউন হাইর ওপর। দায় মুক্তির সুযোগ নিয়ে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তিনি অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন। জিউন হাইর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগÑ তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এ কাজে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভাল সম্পর্কের সুযোগ নিয়েছেন।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
