ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ রাসেল রুখে দিল চট্টগ্রাম আবাহনীকে

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১২ নভেম্বর ২০১৬

শেখ রাসেল রুখে দিল চট্টগ্রাম আবাহনীকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিতলে এক দলের সামনে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করার সুযোগ। অপর দল জিতলে পয়েন্ট টেবিলের দশম থেকে নবম স্থানে উঠে (১২ দলের মধ্যে) কিঞ্চিৎ উন্নতির সুযোগ। কিন্তু কোনটাই হয়নি। হয়েছে গোলশূন্য ড্র। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শুক্রবার চট্টগ্রাম আবাহনী মুখোমুখি হয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের সঙ্গে। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ড্রতে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আগের দ্বিতীয় স্থানেই রয়ে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আগের দশম অবস্থানেই থাকল শেখ রাসেল। চট্টগ্রাম আবাহনীর নিয়মিত অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি। ফলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন উইঙ্গার জাহিদ হোসেন। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে মোটেও ঝলসে উঠতে পারেননি তিনি। যদিও একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন গোলের, ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হওয়াতে গোলের দর্শন পায়নি তার দল। ১২ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদ হোসেন প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে যে কৌনিক ভলি নেন, তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২০ মিনিটে মরক্কোর মিডফিল্ডার তারিক আল জানাবি বল বাড়ান বক্সে থাকা সতীর্থ হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট প্রিয়ক্সকে। কিন্তু বক্সে রাসেলের দুই ডিফেন্ডারের কঠিন বাধার মুখে গোল করতে ব্যর্থ হন প্রিয়ক্স। ২১ মিনিটে দুই ফুটবলারের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রাসেলের ফরোয়ার্ড রুম্মন হোসেন। শটও নেন। কিন্তু বলে হেড দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে বিপদমুক্ত করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডার। ২৫ মিনিটে বক্সের বেশ দূর থেকে আবাহনীর জাহিদের দূরপাল্লার ফ্রি কিক লাফিয়ে উঠে বল ফিস্ট করে দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন রাসেলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য। ৩৩ মিনিটে বক্সে ঢুকে রাসেলের গোলরক্ষককে ডজ দিয়ে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়ে দারুণ শট নেন প্রিয়ক্স। বল জালে ঢোকার ঠিক আগ মুহূর্তে শুয়ে পড়ে শরীর ঠেকিয়ে দুর্দান্ত সেভ করেন রাসেলের মিশরীয় ডিফেন্ডার আহমেদ সাইদ হাসান। ৬১ মিনিটে ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম নাসিরের রাউন্ড শট ফিরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৬৩ মিনিটে মোনায়েম খান রাজু বল নিয়ে আবাহনীর বক্সে ঢুকে শট নেন। জাহিদের গায়ে বল লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৬৬ মিনিটে শেখ রাসেলের হাইতিয়ান মিডফিল্ডার সেবাস্তিয়েনের চমৎকার দূরপাল্লার কিক প্রায় বক্সে ঢুকে গিয়েও জড়ায়নি জালে। সাইডপোস্টে লেগে বল চলে যায় বাইরে। ৭০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল বাড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার নাসির। বক্সে ইকাঙ্গা বল পায়ে রাখতে পারেননি। এরপর রাসেল ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনির কাছে বল গেলে তিনিও ব্যর্থ হন। ৮২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় রাসেল। রনির শট প্রতিহত হয় আবাহনীর রক্ষণ দেয়ালে। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে উভয়দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে।
×