ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক ফিফা রেফারি মনিরুলের ইন্তেকাল

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৪ নভেম্বর ২০১৬

সাবেক ফিফা রেফারি মনিরুলের ইন্তেকাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন ডায়াবেটিসে। ছিল উচ্চ রক্তচাপ। ভোগাচ্ছিল পায়ের ক্ষত সমস্যাও। গত বছর এ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। এবারও ভর্তি হলেন। কিন্তু সেবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারলেও এবার আর পারলেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি আর কেউ নন, মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশের ফুটবলের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ছিলেন সাবেক ফিফা রেফারি, ফিফা ও এএফসি ম্যাচ কমিশনার, ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহে ... রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ বাড্ডা শিমুলতলা মসজিদে। মনিরুল ইসলাম ফিফা ও এএফসির প্রশাসনিক অফিসারও ছিলেন। তিনি মোট ১৪৬টি ফিফা ও এএফসি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্ত্রীও ছিলেন মহিলা রেফারি। মনিরুল ইসলামের মৃত্যুতে আন্তরিক শোক প্রকাশ এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবারসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন। ফিফা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামগ্রিক পারিপার্শ্বিকতার কারণে ফিফার পরামর্শে তৈরি ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনগুলো (ডিএফএ) সাবলীলভাবে কাজ করতে পারছে না, এটির আরও পরিমার্জন প্রয়োজনÑ এমনটাই বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রতিনিধি দলকে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। বাংলদেশ সফররত চার সদস্যের ফিফা প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকার শেষে বীরেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফুটবল উন্নয়নে নানা কাজ করে যাচ্ছে, সেটাই বলেছি ফিফা প্রতিনিধি দলকে। এটিও বলেছি যে ডিএফএ ও ডিএসএ’র মাঝে একটি সাংঘর্ষিক অবস্থা চলছে। যা আমাদেরও কাম্য নয়। ডিএফএ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিবন্ধিত সংস্থা নয়, এটি বাফুফের অধীনে একটি সংস্থা। তবুও আমরা সরকারের মাঠ ও স্থাপনাসমূহ ব্যবহারের জন্য তাদের বরাদ্দ দেই।’ বীরেন আরও বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতা ছাড়া বাফুফের পক্ষে একা ফুটবল উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব নয়, তাই সরকারের অংশীদারিত্ব কতটুকু হতে পারে তা ভাবার কথা বলেছি, ফিফা প্রদত্ত অনুদান বাফুফেই ব্যয় করে। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এটি ফিফাই তদারকি করে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। ফুটবল উন্নয়নে সরকার সর্বদাই তৈরি, এই নিশ্চয়তা দিয়েছি। আমরা যে সারাদেশে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী পরিচালনা করছি তাও জানিয়েছি।’ সিলেট একাডেমির প্রসঙ্গও এসেছে আলোচনায়। এ প্রসঙ্গে বীরেন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বাফুফের একটি পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য চুক্তি ছিল, বর্তমানে একাডেমিটি আর ফুটবল ব্যবহার করছে না, আমরাও এ ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ব্যাপারটি সমাধানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে প্রধান করে গঠিত হয়েছে একটি কমিটি। আমরা বাফুফের সঙ্গে এই ব্যাপারে ও ফুটবল উন্নয়নে কিভাবে আরও সম্পৃক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।’
×