যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ মিডিয়া ও বিনোদন গোষ্ঠী টাইম ওয়ার্নারকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে কিনছে বলে দেশটির শীর্ষ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এটিএ্যান্ডটি জানিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা অনলাইন দর্শকদের টানতে উচ্চগতির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংবাদ ও বিনোদন পরিবেশনে কোন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির পক্ষ থেকে এটাকেই এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে সাহসী উদ্যোগ’ বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক বার্তাসংস্থার খবরে বলা হয়, দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা শেষে শনিবার ডালাসভিত্তিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এটিএ্যান্ডটি চুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদন পেলে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এটাই হবে সবচেয়ে বড় চুক্তি, যার মাধ্যমে কেবল চ্যানেল এইচবিও, সংবাদ মাধ্যম সিএনএন ও ফিল্ম স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রসসহ টাইম ওয়ার্নারের সব সম্পদ এটিএ্যান্ডটির হাতে চলে যাবে। খবর বিবিসির।
একীভূতকরণের এই প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ টাইম ওয়ার্নারের সংবাদ ও বিনোদন অনুষ্ঠানগুলোর পরিবেশনে এটিএ্যান্ডটির একচেটিয়া কর্তৃত্ব চলে আসতে পারে বলে তাদের উদ্বেগ। ওয়ার্নারের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১০৭ দশমিক ৫০ ডলার দেবে এটিএ্যান্ডটি। নগদ অর্থ ও শেয়ারের এই মূল্য পরিশোধ করা হবে। সব মিলে ৮৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এটিএ্যান্ডটির আশা, তারা ২০১৭ সালের শেষ দিকে চুক্তির কাজ শেষ করতে পারবে। দুই ভিন্ন জগতের বড় দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন অনেকেই; যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও উদ্বেগ জানিয়েছেন। সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথল বলেছেন, পুরো বিনোদন ও টেলিযোগাযোগ খাতকে পাল্টে দিতে সক্ষম এই বিশাল একীভূতকরণের প্রক্রিয়াকে অবশ্যই খুঁটিয়ে দেখা উচিত। এতে ভোক্তাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন কানেটিকাটের সাবেক এই এ্যাটর্নি জেনারেল। চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শিবিরের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন।
শনিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে জিতলে তিনি এ চুক্তি ঠেকিয়ে দেবেন। কারণ এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়বে। অবশ্য টাইম ওয়ার্নারের টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের রুদ্ধে ট্রাম্প শিবিরের আগে থেকেই অনেক অভিযোগ। তাদের ভাষ্য, রিপাবলিকান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকে গণমাধ্যমগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
