ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘অন্ধকার মহাসড়ক ও যন্ত্রদানবের গল্প’

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৬

আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘অন্ধকার মহাসড়ক ও যন্ত্রদানবের গল্প’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ভয়াবহতা পরিণত হয়েছে নিয়মিত ঘটনায়। প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ না কেউ নিহত হচ্ছেন। আর আহতরা হয়ে আছেন জীবন্মৃত। সড়ক দুর্ঘটনায় এই অবিরাম মৃত্যু ও আহত হওয়ার বেদনাকে ফ্রেমবন্দী করেছেন আলোকচিত্রী নূর আলম। তাঁর তোলা নানা ছবি নিয়ে রাজধানীর ধানম-ির ইএমকে সেন্টারে শুরু হলো প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘অন্ধকার মহাসড়ক ও যন্ত্রদানবের গল্প’। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তৃতীয়বারের মতো এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ানবহতার বিভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে প্রদর্শনীতে। আছে যেমন দুর্ঘটনার চিত্রসহ কারণ অনুসন্ধান, তেমনি আছে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের দুর্দশার কথা। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে ২০১১ সালে চট্টগ্রামের মীরসরাই ট্র্যাজেডির কথা উঠে এসেছে টাঙ্গাঈলের কালিহাতিতে ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত তাঁত শ্রমিকদেও পরিবারের কথা। প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শেখ রাসেল চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি ॥ চলচ্চিত্র হোক শিশুর স্বপ্নের মতো রঙিন সেøাগানে ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয় শেখ রাসেল জাতীয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। শিশুদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে ছোটদের ছবি দেখার এ আয়োজন করা হয়। পাঁচ দিনের এ উৎসবের শেষ দিন ছিল শনিবার। দেশে নির্মিত শিশুতোষ পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য ও এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র মিলিয়ে উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ১৭টি চলচ্চিত্র। শনিবার বিকেলে একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেনসহ খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উৎসবের সমাপনী দিনে নবীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। সব শেষে ছিল একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ॥ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তনসহ উন্মুক্ত মঞ্চে চলছে গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। ১০ দিনব্যাপী এ উৎসরে দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবেশ করতেই দেখা গেল মুক্তমঞ্চে গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও পথনাটকের আসর। শুরুতেই নাট্যদল পরিবেশন করে পথনাটক। ‘জারুলের ফুলে ফুলে দলে দলে ভোমরা’ ও ‘নাও ছাড়িয়া দে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বহ্নিশিখার শিল্পীরা। এছাড়াও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরসাগর ললিতকলা একাডেমি। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে কণ্ঠশীলন ও স্বরশ্রুতি। এভাবেই শুরু হয় গঙ্গ-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বিকেলে উন্মুক্ত মঞ্চের পরিবেশনা শেষে সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় তিনটি নাটক। জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হয় যশোরের নাট্যদল বিবর্তনের নাটক ‘রাজা প্রতাপাদিত্য’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাট্যদল সময়ের নাটক ‘শেষ সংলাপ’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় চারুনীড়মের নাটক ‘ডেড পিকক’। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা এবং সন্ধ্যায় ৭টায় থাকবে নাটকের প্রদর্শনী। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
×