ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২১ অক্টোবর ২০১৬

টাঙ্গাইলে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ পরিবেশ আইন, বন সংরক্ষণ আইন, ইটভাঁটি ও ইট প্রস্তুত আইন মানছে না মধুপুর, ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলার মালিকরা। আসছে মৌসুমে নিজেদের ইচ্ছেমতো পুরনো চিমনি ও পৌর এলাকার ভাঁটি মালিকরা ইট প্রস্তুতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুসারে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির জিগজ্যাগ কিলন, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, ভারটিক্যাল স্যাফট ব্রিককিল্ন বা অনুরূপ উন্নততর কোন প্রযুক্তির ইটভাঁটি স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত ২০১৩ আইনটি ১ জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হয় বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ অধিদফতর। মধুপুর উপজেলায় ভাঁটি রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে দুইটি জিগজ্যাগ, বাকি ৮টি ১২০ ফুট পুরনো চিমনির। মধুপুর পৌরসভার ভিতরে পুরনো চিমনির ৩টি। খন্দকার মোতালিব হোসেনের মালিকানাধীন এমবি ব্রিকস, আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন আশা ব্রিকস, খন্দকার হানিফের মালিকানাধীন এসআরবি ব্রিকস। বাকি ৫টি পৌরসভার বাইরে রতনের মালিকানাধীন প্রগতি ব্রিকস, রাশেদুলের মালিকানাধীন পলাশ পুলক ব্রিকস, মহিউদ্দিনের মালিকানাধীন মধুপুর ব্রিকস, আব্দুল জলিলের মালিকানাধীন জনতা ব্রিকস, নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন এসকে ব্রিকস। ধনবাড়ী উপজেলায় ইটভাঁটি রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে জিগজ্যাগ ৯টি, বাকি ৪টি ১২০ ফুট পুরনো চিমনির। পুরনো চিমনির দুটি পৌরসভার ভিতরে। ছোহরাব আলী মালিকানাধীন একতা ব্রিকস ও শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মালঞ্চ ব্রিকস। পৌরসভার বাইরে দুটি ধোপাখালী ইউনিয়নের জাহিদুল হক মিলনের মালিকানাধীন এমএসবি ব্রিকস ও আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন এসএ ব্রিকস। এছাড়া গোপালপুর উপজেলায় পৌরসভার ভিতরে ১২০ ফুট পুরনো চিমনির ৫টি ভাঁটি রয়েছে বলে জানা গেছে। জিগজ্যাগ ভাঁটির মালিকরা আইনকানুন মানলেও সাধারণ পদ্ধতির ভাঁটির মালিকরা কোন আইনের তোয়াক্কা না করে গত কয়েক বছরের মতো এবারও ইট প্রস্তুতের প্রস্ততি নিচ্ছে পুরোদমে। এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা রিনি জানান, সরকারী বিধানের বাইরে কেউ ইটভাঁটি পরিচালনা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×