ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড্যানিশ তারকা ওজনিয়াকির মুখে শিরোপার হাসি

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

ড্যানিশ তারকা ওজনিয়াকির মুখে শিরোপার হাসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হংকং ওপেনে আলো ছড়ালেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই অসাধারণ পারফর্ম করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। রবিবার হংকংয়ের ফাইনালে ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা ৬-১, ৬-৭ (৭/৪) এবং ৬-২ সেটে হারান ফ্রান্সের ক্রিস্টিনা মাদেনোভিচকে। প্রতিপক্ষকে হারাতে ওজনিয়াকির সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। প্রথম সেট ৬-১ ব্যবধানে খুব সহজে নিজের করে নিলেও দ্বিতীয় সেটেই জমে যায় লড়াই। ২৩ বছরের ফ্রান্স তারকা জিতে যান ৭-৬ সেটে। তবে তৃতীয় সেটে আবারও সেই ওজনিয়াকির রাজত্ব। যেন পাত্তাই পাননি মাদেনোভিচ। ৬-২ সেটে জিতে শিরোপাও নিজের করে নেন ড্যানিশ টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। পুরো সপ্তাহ জুড়েই দারুণ পারফর্মেন্স উপহার দিতে পেরে তৃপ্ত ওজনিয়াকি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে নিজের এই অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ২৬ বছর বয়সী বলেন, ‘এ সপ্তাহের পারফর্মেন্সে আমি দারুণ সন্তুষ্ট। এই সময়ে দীর্ঘ লড়াইয়ের পাশাপাশি ভাল টেনিসও খেলেছি।’ কোর্টে শুধু র‌্যাকেট হাতেই লড়াই হয়নি এদিন। মানসিক লড়াইও নাকি করতে হয়েছে ফাইনাল ম্যাচে। এ প্রসঙ্গে সাবেক নাম্বার ওয়ান এই টেনিস তারকা বলেন, ‘মানসিকভাবে এটা খুব সহজ ছিল না। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে যে সে আর পারবে না এবং কখনও কখনও সে দ্রুততম গতিতে গঞ্জালেজের মতো দৌড়েছে। তবে আপনি যদি উভয়দিকেই দৌড়াতে পারেন তাহলে আর এটা খুব খারাপ নয়। আমি বলব এখানে মানসিক লড়াইও হয়েছে।’ হংকং ওপেন ওজনিয়াকির ২৫তম শিরোপা। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ারের শীর্ষে উঠেছিলেন ড্যানিশ টেনিস তারকা। কিন্তু তার একটাই আক্ষেপ! এখনও কোন গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি। এ প্রসঙ্গে ক্যারোলিন ওজনিয়াকি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত গ্র্যান্ডসøাম জিততে না পারাটাই আমার জন্য বড় আক্ষেপ।’ এদিকে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইনালেও প্রথম শিরোপা জয়ের হতাশা মাদেনোভিচের। তবে ক্যারোলিন ওজনিয়াকির বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটা তিন সেটে নিতে পেরেই আনন্দিত ফরাসী তারকা। বেয়ার্ন মিউনিখকে ঠেকিয়ে দিল দশজনের ফ্রাঙ্কফুর্ট স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন মিউনিখের। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হারের পর লীগে কোলনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গত চারবারের বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার রাতেও বাভারিয়ানরা ২-২ গোলে ড্র করেছে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের সময় মিডফিল্ডার জাবোলকস হুজটি লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে গেলে দশজনে পরিণত হয় স্বাগতিক ফ্রাঙ্কফুর্ট। এরপরও জিততে পারেনি বেয়ার্ন দুইবার এগিয়ে গিয়েও। ফলে টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য থাকল কার্লোস আনচেলত্তির দল। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট। তবে আক্রমণের দিক থেকে বেশ কঠোর ছিল বেয়ার্ন। সে কারণেই ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। এ ম্যাচে বাভারিয়ানরা একাদশে স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোস্কিকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল। আর ফ্রাঙ্ক রিবেরি তিন সপ্তাহের জন্য ইনজুরিতে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। এরপরও আরিয়েন রোবেন গোল করে ভাল সূচনাই দিয়েছিলেন। তিনি কয়েকজনকে কাটিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপদসীমায় ঢুকে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন ফ্রাঙ্কফুর্টের ফিনল্যান্ড গোলরক্ষক লুকাস রাদেকিকে (১-০)। ১৫ মিনিটের সময়ই দুর্ভাগ্যের কারণে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের। টিমোথি চ্যান্ডলারের শট সাইডপোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর দারুণ হেড নিয়েছিলেন আলেক্সান্ডার মেয়ার। কিন্তু সেটা দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন বেয়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ের। দারুণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে খেলা চলতে থাকে। অবশেষে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে গোল আদায় করে নেয় ফ্রাঙ্কফুর্ট। হুজটি গোল করে সমতা আনেন (১-১)। এটি বেয়ার্নের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের পর প্রথম গোল ছিল ক্লাবটির। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেয়ার্ন মরিয়া ছিল গোল করার জন্য। কিন্তু ফ্রাঙ্কফুর্ট দক্ষতার সাথেই সেই আক্রমণগুলো প্রতিহত করেছে। তবে ৬২ মিনিটের সময় তরুণ মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিচ আবার এগিয়ে দেন বেয়ার্নকে। ম্যাট হামেলসের পাসে বল পেয়ে গোল করেন দারুণ ফর্মে থাকা এ তরুণ (২-১)। গত ৭ ম্যাচে এটি ছিল তার ষষ্ঠ গোল। পিছিয়ে পড়ার পর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ৬৫ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বাইরে চলে যেতে হয় গোলদাতা হুজটিকে। তবে এরপরও আশা ছাড়েনি ফ্রাঙ্কফুর্ট। ৭৮ মিনিটের সময় চ্যান্ডলারের বাঁকানো শট বুকে ঠেকিয়ে বেয়ার্নের জালে জড়িয়ে দেন এম ফ্যাবিয়ান (২-২)। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হয়। এ ড্রয়ের পরও ৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বেয়ার্ন। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে এফসি কোলন দ্বিতীয় অবস্থানে। সাংহাইয়ে চ্যাম্পিয়ন ব্রিটেনের এ্যান্ডি মারে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চীনা ওপেনের পর সাংহাই মাস্টার্সেও চ্যাম্পিয়ন হলেন এ্যান্ডি মারে। রবিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্রিটিশ এই টেনিস তারকা ৭-৬ (৭/১) এবং ৬-১ সেটে হারান স্পেনের রবার্তো বাতিস্তাকে। সেইসঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে তার পয়েন্ট ব্যবধান আরও কমেছে। এর আগে ২০১০ এবং ২০১১ সালে এই শিরোপা নিজের শোকেসে তুলেছিলেন তিনি। এবার তৃতীয়বারের মতো সাংহাই মাস্টার্সের চ্যাম্পিয়ন হলেন মারে। চলতি মৌসুমটা যে তার দারুণ কেটেছে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও তা অকপটে স্বীকার করেছেন স্কটিশ এই টেনিস তারকা।
×