ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চায়  বাংলাদেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের গোয়ায় ব্রিকস ও বিমসটেক আউটরিচের প্রাক্কালে বাংলাদেশ জানিয়েছে- মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে সড়কপথে থাইল্যান্ড তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা তাদের একটি বড় লক্ষ্য। এই মুহূর্তে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে যে ত্রিদেশীয় হাইওয়ের পরিকল্পনা চলছে, বিমসটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশকেও তাতে যুক্ত করার ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলা অনলাইনের। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো পরিষ্কার বলেছে, আঞ্চলিক কানেক্টিভিটিকে আরও প্রসারিত করাই হবে গোয়াতে তাদের প্রধান লক্ষ্য। বিমসটেক কথাটার মধ্যেই আছে মাল্টি-সেক্টোরাল বা বহুমাত্রিক সহযোগিতার অঙ্গীকার। কিন্তু গোয়ার আউটরিচে তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব¡ দিচ্ছে কানেক্টিভিটিকে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বলছেন, দক্ষিণ এশিয়াতে তারা ভারত-নেপাল-ভুটানের সঙ্গে মিলে যে সংযোগ গড়ে তুলছেন, এবারে বিমসটেকের মাধ্যমে সেটাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতও বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কানেক্টিভিটি অচিরেই একটা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে যাচ্ছে এবং শীঘ্রই মিয়ানমারও এই যোগাযোগের বৃত্তে সংযুক্ত হবে। দিল্লীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক সচিব অমর সিনহার কথায় -১৯৬৫ সালের আগে ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যত যোগাযোগের মাধ্যম ছিল তার সবই একে একে আবার চালু করা হচ্ছে। নদীপথ ইতোমধ্যেই কাজ করছে, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথও চালু হওয়ার অপেক্ষায়। এরই মধ্যে মিয়ানমার হয়ে কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট রুটের কাজও ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে, বছর তিনেকের মধ্যে সেখানে মিজোরাম অবধি রাস্তাও তৈরি হয়ে যাবে। এসব প্রকল্পের অর্থায়নে সময় লেগেছে, কিন্তু ২০১৮-১৯’র মধ্যে এর সবই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার কিংবা ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ এশিয়া আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এতদিন যেন একটা অদৃশ্য বাধার প্রাচীর ছিল Ñযেকোন আন্তর্জাতিক সড়ক তৈরির প্রস্তাব ওখানে এসে আটকে যেত। কিন্তু হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বলছেন, বিমসটেক এখন সেই দেয়ালটাকে ভাঙ্গার চমৎকার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই বক্তব্যের রেশ ধরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলছে- অবকাঠামোগত ও ডিজিটাল, দু’ধরনের কানেক্টিভিটি তৈরির জন্যই তারা বিমসটেকের সদস্যদের সঙ্গে সক্রিয় তৎপরতা চালাচ্ছেন।
×