ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ প্রধান বিরোধী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লুর

গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর পথে এরদোগান

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২ অক্টোবর ২০১৬

গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর পথে এরদোগান

তুরস্কে ভিন্নমত দমন করতে ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান চেষ্টাকে সরকার কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু। শুক্রবার তিনি তিন মাসের জরুরী অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির পদক্ষেপের বিরোধিতা করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। খবর এএফপির। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্ম প্রচারক ফেতুল্লাহ গুলেনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপকে অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনার জন্য দায়ী করে সরকার। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর এই গ্রুপের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানে হাজার হাজার লোককে আটক ও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল অভিযোগ করেন, সরকার ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থান চেষ্টাকে ‘আরেকটি অভ্যুত্থান তথা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটনে’ ব্যবহার করছে। ১৫ জুলাইয়ের ঘটনার পর সরকার তিন মাসের জরুরী অবস্থা জারি করে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, এটির মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে। তবে কিলিকদারোগ্লু বলেন, আমরা এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি যেখানে সরকার তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও বিরোধীদের নিস্তব্ধ করতে অভ্যুত্থান চেষ্টাকে ব্যবহার করছে। সরকারের তথ্য মতে, ৩২ হাজার সন্দেহভাজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সাবেক শীর্ষ জেনারেলদের। কয়েকজন বিখ্যাত সাংবাদিক ও লেখককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক আহমেত আলতান ও তার ভাই শিক্ষাবিদ মেহমেত। কিলিকদারোগ্লু সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেন আপনারা সাংবাদিকদের হাতকড়া পরাচ্ছেন? কেন আপনারা বুদ্ধিজীবীদের আটক করছেন? তিনি আরও বলেন, তার দল পার্লামেন্টে জরুরী অবস্থার প্রতি সমর্থন দেবে না। তিনি ইস্তান্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আজ চাইলে যে কোন পত্রিকা বন্ধ করে দিতে পারে। যে কোন ব্যবসায়ীকে দেউলিয়াত্বের মুখে ঠেলে দিতে অথবা তাদের সম্পদ জরুরী আইনের বলে জব্দ করতে পারে। এটি গণতন্ত্রের প্রতি মারাত্মক হুমকি। তার এই মন্তব্য সরকারের সঙ্গে তাদের সংহতিতে ফাটল ধরার বহিঃপ্রকাশ।
×