ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় দলে ফিরতে রাজি মামুনুল, তবে...

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাতীয় দলে ফিরতে রাজি মামুনুল, তবে...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমার হাতে আরও তিনটি লীগ ম্যাচ আছে। আগে এগুলো খেলব। তারপর নিজের পারফর্মেন্স নিজেই মূল্যায়ন করব। তারপর যদি মনে হয় আমি জাতীয় দলে খেলার জন্য ফিট বা প্রস্তুত আছি, তাহলে তখন একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে এখানে একটা কথা আছে। আমি আবারও জাতীয় দলে ফিরব কি-না, সেটা নির্ভর করছে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির ওপর। তাছাড়া কোচ টম সেইন্টফিটও আমাকে ডাকবেন কি-না, বা খেলাতে চান কি-না, সেটাও দেখতে হবে। যদি সবকিছু ইতিবাচক পর্যায়ে থাকে তখন হয়ত জাতীয় দলে আবারও ফিরে আসতে পারি।’ কথাগুলো মামুনুল ইসলামের। বৃহস্পতিবার তিনি এসেছিলেন বাফুফে ভবনে। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সুস্মিতা। আগামী ১০ অক্টোবর ভুটানের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্লে-অফ এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ সামনে রেখে ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। কোচ সেইন্টফিট ইতোমধ্যে ছুটি কাটিয়ে বেলজিয়াম থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। ফিরেই ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দল সবার জন্য উš§ুক্ত। এই ঘোষণার একদিন পরই মামুনুল অবসর ভেঙ্গে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। তবে সেটা বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি, ‘সালাউদ্দিন ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যদি দলে আমাকে চান, তাহলে দেশের স্বার্থে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে আমি প্রস্তুত।’ যদিও মিডিয়ার সঙ্গে আলাপনে মামুনুল শুরুতে উপরোক্ত মন্তব্যগুলো করতে চাননি। তিনি আসলে বাফুফে ভবনে এসেছিলেন অন্য কাজে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার নামে ফেসবুকে বহু ভুয়া বা ফেক আইডি আছে। সেগুলোরই একটি থেকে সম্প্রতি বাজে মন্তব্য করা হয় বাফুফে এবং বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন সম্পর্কে। সেই মন্তব্য আসলে কী ছিল, তা আমি বলতে চাই না, আমার রুচিতে বাধে।’ মামুনুল আরও বলেন, ‘এ রকম বাজে মন্তব্যের ফলে সবাই আমাকে ভুল বুঝছে। সামাজিকভাবে আমি হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। এতে সর্বোপরি দেশের ফুটবল এবং ফুটবলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ ওই কমেন্টের প্রেক্ষিতে বাফুফে তলব করে মামুনুলকে। বাফুফে ভবনে এসে সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন মামুনুল। তিনি গণমাধ্যমে আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি গত তিন মাস ধরে বন্ধ আছে। আর আমার আইডি আমার স্ত্রী চালায়। ওর কাছেই পাসওয়ার্ডসহ সব কিছু থাকে। আমি বলব ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ যাতে কেউ না করে। খেলোয়াড়দের ভবিষ্যতের জন্য এ ধরনের কাজ কারোরই উচিত নয়। ফেডারেশন থেকে আমাকে আমি আর আমার স্ত্রী সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানালাম ওটা আমার আইডি নয়। আমি ফেসবুক, ইমু, ভাইবার, হোয়াটসএ্যাপ কিছুই ব্যবহার করি না।’ উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিমানে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন মামুনুল। গত সাফ সুজুকি কাপে বাংলাদেশ দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ায় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য বাফুফের অনুরোধে অধিনায়কের দায়িত্বটা চালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার শুধু অধিনায়কত্বই নয়, জাতীয় দলকেই বিদায় জানিয়ে দেন তিনি। ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের প্রথম লেগের ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচকে সামনে রেখে ২৩ সদস্যের ফুটবল দল ঘোষণা করে বাফুফে। কিন্তু সেখানে জায়গা না পাওয়ায় অপমানিত বোধ করে তারকা এই ফুটবলার অবসরের সিদ্ধান্ত নেন। ইনজুরির কারণে মালদ্বীপের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে খেলেননি মামুনুল। জাতীয় দলের হয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলা মামুনুল তখন বলেছিলেন, ভুটান ম্যাচের আগে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্যই মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলছি না। প্রথমে শোনা যায়, মামুনুল তার অবসরের চিঠি জমা দিয়েছেন বাফুফেতে। পরে জানা যায়, সেই চিঠি এখনও জমা দেননি তিনি।
×