ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি শেষ, ত্রাণ বহরে বিমান হামলা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি শেষ, ত্রাণ বহরে বিমান হামলা

সিরিয়ায় রুশ-মার্কিন মধ্যস্থতায় সপ্তাহকালের অস্ত্রবিরতি শেষ বলে সিরীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টার মাথায় আলেপ্পো শহরের কাছে ত্রাণবাহী ট্রাকের বহরে বিমান হামলা হয়েছে। সোমবার উরম আল কুবরা টাউনের কাছে চালানো এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়। এদিকে অস্ত্রবিরতি অসংখ্যবার লঙ্ঘন ও সিরীয় সেনাবাহিনীর ঘোষণা সত্ত্বেও এই ভেঙ্গে যাওয়া অস্ত্রবিরতির মেয়াদ বাড়াতে প্রস্তুত বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও ফক্স নিউজের। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেছেন, অন্তত ১৮টি থেকে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিমান হামলায় এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি। জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফান দ্য মিসতুরা এ ঘটনাকে ‘নির্মম নিষ্ঠুরতা’ বলে অভিহিত করেছেন। এক ইমেইল বার্তায় তিনি বলেছেন, অনুমোদনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতির পর আটকে পড়া বেসামরিক সিরীয়দের জন্য বহরটি আনার সুযোগ হয়েছিল। সিরীয় রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ এলাকাগুলোর জন্য আলেপ্পো থেকে নিয়মিত সরবরাহ নিয়ে যাচ্ছিল বহরটি। ইন্টারনেটে পোস্ট করা ছবিতে ত্রাণবহরের লরি ও ট্রেইলারগুলোতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, সিরীয় অথবা রুশ যুদ্ধবিমানের চালানো এই হামলায় ১২ ত্রাণকর্মী ও ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। অস্ত্রবিরতি শেষ হওয়ার পর আলেপ্পো ও তার আশপাশে অন্তত ৩৫টি বিমান হামলা হয়েছে। ‘ভুল করে’ ৮৫৮ অভিবাসীকে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রদান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক বিবেচিত অথবা অভিবাসন প্রতারণায় বড় ধরনের অভিযোগ থাকা দেশগুলো থেকে আসা অন্তত ৮৫৮ জন অভিবাসীকে ভুল করে নাগরিকত্ব দিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। মঙ্গলবার প্রকাশিত দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অভ্যন্তরীণ অডিটের প্রতিবেদনে এ ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। খবর এনডিটিভির নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়া ওই অভিবাসীদের কারও কারও বিরুদ্ধে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশও দেয়া হয়েছিল। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মহাপরিদর্শক দেখতে পান, ওই অভিবাসীরা নাগরিকত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিভাগে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও জন্ম তারিখে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু সরকারী তথ্যভাণ্ডার থেকে তাদের আঙুলের ছাপ হারিয়ে যাওয়ার কারণে এই অসামঞ্জস্য ধরা পড়েনি। প্রতিবেদনে নাম প্রকাশের মাধ্যমে কোন অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়নি।
×