ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় ৩২ শিক্ষকের চার বছর বেতন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নওগাঁয় ৩২ শিক্ষকের চার বছর বেতন বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৯ সেপ্টেম্বর ॥ নিয়ামতপুর উপজেলার আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ শিক্ষক দীর্ঘ চার বছর বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা এবারও ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ঘোষণা করা হলেও সারা দেশের ৩০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়। এরমধ্যে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার এই আটটি বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো, আক্কেলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরকুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানসা প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরশৈল প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্তোষপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, উষ্টিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পৈলানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি সকল বেসরকারী রেজিষ্ট্রার্ড বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ঘোষণা করলেও ওই সমস্ত বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, কয়েক শিক্ষক ও তৎকালীন নিয়ামতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপক কুমার গোস্বামীর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়। ধানসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই আটটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেই সময়ে নিয়ামতপুরে কর্মরত উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপক কুমার গোস্বামীকে উৎকোচ না দেয়ার কারণে আমাদের বিদ্যালয়ের কাগজপত্র সঠিক সময়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেননি। আমাদের কাগজের বিভিন্ন ত্রুটি, জমির খারিজ সংক্রান্ত কাগজপত্রে ত্রুটি ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে কালক্ষেপণ করেন’। তিনি বলেন, ‘ক্যাটাগরির মধ্যে না পড়েও শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ঝাঁজিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন না হওয়া সত্ত্বেও জাতীয়করণের তালিকায় এ বিদ্যালয়টিকে “এ” ক্যাটাগরিতে দিয়েছিল। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত করে সেই বিদ্যালয়ের নাম বাতিল করে’। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই সময় আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিলাম। গত ১৭ আগস্ট আটটি বিদ্যালয়কে গেজেটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখন বিদ্যালয়গুলোর ৩২ শিক্ষক গেজেটভুক্ত হলেই তাদের দুঃখের দিন শেষ হবে।
×