ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-নেপাল মতৈক্য

পরস্পরের বিরুদ্ধে ভূখণ্ড ব্যবহৃত হতে দেব না

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পরস্পরের বিরুদ্ধে ভূখণ্ড ব্যবহৃত হতে দেব না

ভারত সরকার নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাঠমন্ডুর উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। ভারত ও নেপাল একসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে গড়ার কাজ শুরু করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার নেপালী প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচন্ডের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, নেপালের সঙ্গে ভারত এর উন্নয়ন অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। দেশ দুটি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছে, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে তাদের আঞ্চলিক ভূখ- ব্যবহার করতে দেবে না এবং নিয়মিত অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য তারা একটি সতর্ক কৌশল গ্রহণেও সম্মত হয়েছে। পরে, দু’পক্ষের এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। দেশ দুটি এরাই মহাসড়কের উন্নয়ন ও কয়েকটি নতুন প্রকল্পের জন্য বাড়তি ঋণ প্রদানে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- এরাই সড়কের ফেজ-টু, কয়েকটি পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন, সাব-স্টেশন ও একটি পলিটেকনিক। মোদি ভূমিকম্প উত্তর পুনঃনির্মাণের জন্য ৭৫ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণাও দেন। মোদি এক বিবৃতিতে বলেন, আকাশপথ উন্মুক্ত করায় সীমান্তের দু’পাশে বিদ্যুত বাণিজ্য, ট্রানজিট রুট ও সীমান্তের উভয় পাশে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় ভারতীয় উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে নেপাল এবং তা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদারে ভূমিকা রাখবে। ভারত অর্থনৈতিক ও বিদ্যুত প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেবে। তাই তিনটি বিদ্যুত প্রকল্প- পঞ্চেশ্বর, অরুণ-থ্রি ও আপার কর্ণালি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে সীমান্তের উভয় পাশে বিদ্যুত বাণিজ্যের ওপর একটি ফ্রেমওয়ার্ক নীতি নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা রয়েছে ভারতীয় সরকারের। এতে বিদ্যুত বিক্রিতে নেপালের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে। কিন্তু রাজনীতি খুব একটা দূরে নেই। প্রচন্ড তার বিবৃতিতে বলেন, আমরা নেপালী সংবিধানের বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছি। আপনারা জানেন যে, আমার সরকার প্রত্যেকের মতামত গ্রহণে অত্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছে। ভারত এর প্রতিক্রিয়ায় আরও অনেক সতর্কতা দেখিয়েছে। মোদি আলোচনায় প্রচন্ডের ওপর প্রভাব রেখেছেন। পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অবস্থান হচ্ছে এই যে, আমাদের প্রত্যাশা, নেপাল তার সকল জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত ঘটিয়ে সংবিধান বাস্তবায়ন করবে সফলতার সঙ্গে। প্রচন্ড তার চার দিনের ভারত সফরে এসে সাটলেজ জলবিদ্যুত নিগম লিমিটেডয়ের (এসজেভিএনএল) এক হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট নাথপা ঝাকরি বাঁধ পরিদর্শনের জন্য শিমলা যাবেন।
×