যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য হিলারি ক্লিনটন ‘সুস্থ ও কর্মক্ষম’ আছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। প্রচার শিবিরের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হিলারির সবশেষ মেডিক্যাল তথ্যের সঙ্গে দেয়া এক বিবৃতিতে তার চিকিৎসক এ কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী নিউমোনিয়া থেকে ‘দ্রুত সেরে উঠছেন।’ একটি মেডিক্যাল চ্যাট শোতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশ করার পর হিলারির স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশ করা হয়। হিলারির সহযোগীরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেবেন তিনি। খবর বিবিসির
শুক্রবার হিলারির নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তখন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু রবিবার নিউইয়র্কে বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার ১৫তম বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠানে ভারসাম্য হারিয়ে মূর্ছা যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে হিলারির অসুস্থতার খবর প্রকাশ পায়। উভয় প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়সী প্রার্থীদের তালিকায় আছেন। উভয়েই নিজেদের স্বাস্থ্যগত তথ্য প্রকাশ করার বিষয়ে প্রবল চাপের মধ্যে আছেন। ৯/১১ অনুষ্ঠানে হিলারি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে স্বাস্থ্যগত ইস্যু। বুধবার হিলারির প্রচার শিবির জানায়, পুরো শরীর পরীক্ষায় হিলারির সবকিছু ‘স্বাভাবিক’ ও মানসিকভাবে তিনি ‘অসাধারণ অবস্থায়’ রয়েছেন বলে দেখতে পান চিকিৎসক। ডাক্তার লিসা বারডাক বলেন, ‘এ্যান্টিবায়োটিক ও বিশ্রামের কল্যাণে হিলারি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।’ প্রচার শিবির জানিয়েছে, শুক্রবার করা চেস্ট স্ক্যানে হিলারির ‘মৃদু, অসংক্রামক ব্যাক্টেরিয়াল নিউমোনিয়া’ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি তার নিউইয়র্কের বাড়িতে বিশ্রামে আছেন। তাকে লেভাকুয়িন নামের এ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে ও ১০ দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নিজের বিবৃতিতে চিকিৎসক বারডাক বলেন, ‘তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সক্ষম (শারীরিকভাবে) আছেন।’ তবে কবে থেকে তিনি ওষুধ খাওয়া শুরু করেছেন তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। হিলারির ব্লাড প্রেসার ও শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় আছে বলে এতে জানানো হয়েছে।
