স্টাফ রিপোর্টার॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত গাইবান্ধার জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ পলাতক ৬ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের তৃতীয় সাক্ষী মোঃ আব্দুল জব্বার (৫৮) তার জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেছেন, “একাত্তরে ঘোড়ামারা আজিজসহ রাজাকাররা আমার বাবা মেম্বার বাইছ উদ্দিনসহ ১৩ জন চেয়ারম্যান মেম্বারকে গুলি করে হত্যা করে।” জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছে। সাক্ষীকে সাক্ষ্যদানে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর শেখ মোশফেক কবির। সাক্ষী মোঃ আব্দুল জব্বার বলেন, একাত্তরে আমার বয়স ছিল ১৩ বছর। আমি ৭ম শ্রেণীতে পড়তাম। ঘোড়ামারা আজিজ সুন্দরগঞ্জ থানা রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। ঘোড়ামারা আজিজ সেই বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। একাত্তরের ১১ অক্টোবর ঘোড়ামারা আজিজসহ রাজাকারদের নির্দেশে আমার বাবা সুন্দরগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পে একটি মিটিং এ যান। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। পরে জানতে পারি, রাজাকাররা আমার বাবাসহ আরও অনেককে আটক করেছে। আমি ও আমার দাদা মিলে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করি বাবাকে ছাড়িয়ে আনতে।