ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বসুন্ধরা শপিংমলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে

পানি সরানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে পুরোদমে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৩ আগস্ট ২০১৬

পানি সরানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে পুরোদমে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাভাবিক হয়ে আসছে শপিংমল বসুন্ধরা সিটির সার্বিক পরিস্থিতি। ঈদ উপলক্ষে এটি দ্রুত খুলে দিতে ভেতরে জমে থাকা পানি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে পুরোদমে। সোমবার দুপুর একটা থেকে পরিচয়পত্র দেখে ব্যাংক কর্মকর্তা, দোকান মালিক ও কর্মচারীদের শপিংমলের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া শুরু হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে শপিংমলের ষষ্ঠতলা ছাড়া অন্যান্য ফ্লোর খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। আগুনের সূত্রপাত ষষ্ঠতলার সি ব্লক ছাড়া অন্যান্য ব্লক ও ফ্লোরে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রুটিন মোতাবেক আজ মঙ্গলবার শপিংমল বন্ধ থাকছে। সোমবার সেখানে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কোন কোন জায়গায় একেবারেই হাল্কা আকারের ছোট ছোট আগুনের দেখা মিলেছে। সেসব জায়গায় প্রচুর পানি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভবনের যেসব জায়গা তাপে গরম হয়েছে, সেখানেও পানি দেয়া হচ্ছে, যাতে ভবনের অবকাঠামোগত কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এজন্য ফায়ার সার্ভিসের ৯০ জন সেখানে কাজ করছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই। ষষ্ঠতলা ছাড়া অন্যান্য ফ্লোর অনেকটাই অক্ষত রয়েছে। শুধুমাত্র কালো ধোঁয়ার কারণে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। রবিবার রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা শপিংমলে আগুন লাগে। বিশাল শপিংমলটির ছয়তলার সি ব্লকের একটি জুতোর দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফ্লোরটির এ, বি ও ডি ব্লকেও জুতো, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ এবং ক্রোকারিজের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রবিবার দিবাগত রাতেও ভবনের ষষ্ঠ তলার কোন কোন জায়গায় আগুন দেখা যায়। সোমবার দুপুর একটার দিকে পর্যায়ক্রমে ভবনটিতে থাকা মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা, দোকান মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পরিচয়পত্র দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এসআইবিএলের একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, তিনি ব্যাংক পরিদর্শনের পাশাপাশি ষষ্ঠ তলায়ও গিয়েছিলেন। তিনি তার মোবাইল ফোনে সেই তলার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। তিনি বলছিলেন, ষষ্ঠ তলার সি ব্লক থেকে আগুনের সূত্রপাত। সি ব্লকে থাকা এক শ’ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ওই ফ্লোরে থাকা বি, ডি ও এ ব্লকের দোকানগুলো প্রায় শতভাগ অক্ষত আছে। শুধু কালো ধোঁয়ার কারণে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোন আগুন লাগেনি। ভেনাস জুয়েলার্সের কর্মকর্তা মৃদুল সাহা বলছিলেন, পঞ্চম তলায় কোন আগুন লাগেনি। এই তলাটিতে অন্তত ত্রিশটি স্বর্ণের দোকানের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। তাদের লোকজন জুয়েলার্সে গিয়ে দেখে এসেছেন। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেখানে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের লোকজন জানিয়েছেন, সপ্তম ও অষ্টম তলায়ও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কালো ধোঁয়া এবং তাপের কারণে যতসামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে ষষ্ঠ তলা ছাড়াও উপরে ও নিচে থাকা ফ্লোরগুলোতে প্রচুর পানি দেয়া হয়েছে। এজন্য আগুন ছড়াতে পারেনি। জুতো ও প্লাস্টিকের সামগ্রী থাকায় কোথাও কোথাও সামান্য আগুনের হলকার দেখা মিলছে। তবে তা একেবারেই সামান্য। বিকেল চারটার দিকেও ভবনের কোন কোন ফ্লোর থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকা-ের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছেন।
×