ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে শ্রিংলা খুলনা-কলকাতা রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২০ আগস্ট ২০১৬

যশোরে শ্রিংলা খুলনা-কলকাতা  রেলপথ চালুর  উদ্যোগ নেয়া  হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর/ বেনাপোল ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত যশোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্যও এ জেলার গুরুত্ব অনেক বেশি। অসংখ্য মানুষ এ সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে। এজন্য খুলনা-কলকাতা রেলপথ দ্রুত চালুর ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও যশোরের গুরুত্বের কথা বর্ণনা করেন। এর আগে তিনি সকালে যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রমে পৌঁছলে রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন মহারাজ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য ও মনিরুল ইসলাম মনির, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বাংলাদেশ ও ভারত আমদানি-রফতানি কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত পরিদর্শন করেন। শুক্রবার ১১টার সময় সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন ভবনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগদেন তিনি। উল্লেখ্য ঢাকায় যোগদানের পর শ্রিংলা প্রথমবারের মতো বেনাপোল সফরে আসলেন। হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, অন্যান্য দেশের চাইতে বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে ভাল বন্ধুপ্রতীম দেশ, তাই এ দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পেট্রাপোলে ‘সুসংহত চেকপোস্টের’ উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশী ব্যবসায়ী যারা ব্যবসার কাজে এবং ভ্রমণের জন্য ভারত যান তাদের জন্য ৫ বছরের ভিসা দেয়া হবে এবং অন্যান্য ভিসাও সহজ করা হবে। ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। মতবিনিময় শেষে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল রেল স্টেশন, কাস্টমস হাউস, বন্দর ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং ইমিগ্রেশন কাস্টমস পরিদর্শন করেন। বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি ভারতে পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে এসে শ্রিংলা নড়াইলে যাবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী ও বাংলাদেশের শুভ্রা মুখার্জির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফাস্ট সেক্রেটারি (রেলওয়ে) দিপাঞ্জন রায়, ফাস্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেস কুমার শর্মা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান, বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন, সেক্রেটারি এমদাদুল হক লতা প্রমুখ।
×