ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র যে কোন সময় গৃহীত হতে পারে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৮ আগস্ট ২০১৬

বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র যে কোন সময় গৃহীত হতে পারে

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এসপি বাবুল আক্তারের চাকরি জীবনের অবসান হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ের ঘটনার পর সময় অনেক গড়িয়েছে। একজন বাদে সব আসামি ধরা পড়েছে। তাদের কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজন বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত সোর্সও রয়েছে। এ হত্যাকা- নিয়ে নানামুখী লেখালেখি কম হয়নি। এমনকি ঘটনার নেপথ্যে সন্দেহের তীর বাবুল আক্তারের প্রতি থাকার বিষয় নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তার পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলে জানান দিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী এটি পুলিশ সদর দফতর হয়ে ঘুরে এসেছে। তবে তার পদত্যাগপত্র কেন এবং কখন গ্রহণ করা হচ্ছে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোন বক্তব্য দেননি। তবে বলেছেন শীঘ্রই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র জিইসি মোড় এলাকায় নিজ পুত্রকে স্কুলগামী বাসে তুলে দিতে ঘর থেকে বের হওয়ার দশ মিনিটের মাথায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে মোটরসাইকেলে আগত ৩ সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারসহ সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। পুলিশ সদর দফতর নড়েচড়ে উঠে। ওইদিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি’র অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বাবুল আক্তারের ওআর নিজাম রোডের বাসায় আসেন। এরপর আসেন আইজি একেএম শহীদুল হক। ঘটনার পর এবং আরও পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্ত সংস্থাসমূহের বহু কর্মকর্তা এ ঘটনার তদন্ত করেন। বর্তমানে মূল তদন্ত কাজে রয়েছে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। কিলিং মিশনের ৭ সদস্য সকলেই ধরা পড়ার পর দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। দু’জন কিলিং মিশনে থাকা এবং অপর দু’জন অস্ত্র সরবরাহের বিষয় নিয়ে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। কিলিং মিশনের নেতৃত্বদানকারী মুসা পুলিশের মতে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনলাইন একটি নিউজ পোর্টালে খবর বেরিয়েছে মুসা কলকাতায় আটক হয়েছে এবং তাকে শনাক্ত করার জন্য ঢাকা থেকে পুলিশের দুই কর্মকর্তা কলকাতায় গেছেন। বুধবার এ ব্যাপারে পিবিআই’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলকাতায় আটক মুসা চট্টগ্রামের হলেও আসলে সে মিতু কিলিং মিশনের সেই মুসা নয়। আগেই তথ্য বেরিয়েছে মুসার কাছ থেকে বক্তব্য রেকর্ড করার পর সে গুম হয়েছে। এর সত্যতা এখনও নিশ্চিত করেনি কোন মহল।
×