ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওহাইওর নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প ॥ কপট নীতি –হিলারি

পরীক্ষা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৭ আগস্ট ২০১৬

পরীক্ষা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে হবে

সন্ত্রাসবাদ দমন, ন্যাটোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেছেন, শীতল যুদ্ধ যুগের মতো অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পরীক্ষামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। খবর এএফপি ও বিবিসির। ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিবাসন প্রার্থীদের আদর্শিক পরীক্ষা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হবে। ওহাইওর এক নির্বাচনী সমাবেশে সোমবার তিনি বলেন, সমকামিতার মতো পশ্চিমা ধ্যান-ধারণা বা ধর্মীয় সহিষ্ণুতা সমর্থন করে কি-না, অভিবাসন প্রার্থীদের এসব বিষয় পরীক্ষা করে যাচাই করে দেখতে হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘যারা আমাদের সংবিধানে বিশ্বাস করে না, উগ্রবাদ ও ঘৃণা ছড়াবে, তাদের এ দেশে অভিবাসী হওয়ার সুযোগ দেযা হবে না।’ তার এ পরিকল্পনার প্রতি উপহাস করে একে ট্রাম্পের ‘কপট নীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন হিলারি। হিলারি বলেছেন, ট্রাম্প নিজেই তো সমকামী বিয়ে সমর্থন করেন না, তিনি এমন এক ব্যক্তিকে (মাইক পেন্স) রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যিনি ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে এলজিবিটি বিরোধী আইনের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইসলামী চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের পরাজিত করব। শীতল যুদ্ধ যুগে যে রকম কড়াকড়িমূলক পদ্ধতি চালু ছিল তিনি সেই পদ্ধতি আবার ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ট্রাম্প এখনও জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে আছেন- এমন সময় তিনি পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বক্তৃতাটি দিলেন। জঙ্গী গ্রুপ ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি দায়ী বলে মন্তব্য করে কয়েক দিন আগেই ট্রাম্প রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেন। সোমবারের ভাষণেও তিনি তার এ বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। তবে বিতর্ক কিছুটা হালকা করার জন্য ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নীতিগত ভুলের জন্যই আইএসের জন্ম হয়েছে। তিনি এ প্রসঙ্গে ইরাক ও লিবিয়ার পরিস্থিতি উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, যে আইএসের বিরুদ্ধে ইরাক সিরিয়ার মার্কিন বিশেষ ও বিমানবাহিনী সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেই জঙ্গী গ্রুপটি বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে সক্রিয় আছে এবং আরও ছয়টি দেশে ফ্রন্ট খোলার চেষ্টা করছে। নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট মুঘল ও সাবেক রিয়ালিটি শো উপস্থাপক ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতিগঠন’ নীতি বাদ দিয়ে ইসলামী চরমপন্থীদের উত্থান প্রতিরোধে বিদেশী জোটগুলোর সঙ্গে ‘নতুন দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে এগোবেন। ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলেও তিনি জানান। এর বিভিন্ন সময়ে আটলান্টিক চুক্তি সংস্থাটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। অনেকে ভাবতে শুরু করেছিল তিনি হয়েত ন্যাটোকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। সোমবারের ভাষণে ট্রাম্প ন্যাটো সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এর আগে বলেছিলাম ন্যাটোর এখন আর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় এটি কার্যকর ভূমিকাই রাখতে পারেনি। আমার সেই বক্তব্যের পর ন্যাটো তাদের নীতিতে পরিবর্তন করেছে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবেলায় নয়া একটি বিভাগও খুলেছে। এটি ভাল খবর।’ ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ॥ ট্রাম্পকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যানটনে হিলারির পক্ষে প্রচারাভিযান চালানোর সময় বাইডেন বলেন, ট্রাম্প যদিও একটি রাজনৈতিক দল থেকে পদপ্রার্থী হয়েছেন কিন্তু তিনি দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সকল মিত্র ও সামরিক মিত্রের মনে আতঙ্ক সঞ্চারিত করেছেন। বাইডেন এই প্রথম হিলারির পক্ষে ক্যাম্পেনে নামলেন।
×