ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বরেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৮ আগস্ট ২০১৬

বিশ্বরেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিজেদের গড়া রেকর্ডকেই ছাড়িয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রমীলা সাঁতারুরা। শনিবার রিও অলিম্পিকের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন তারা। প্রথম দুই লেগে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার এমা ম্যাকিওন ও ব্রিট্যানি এলমসিø যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগীদের পেছনে ছিলেন। তবে শেষ দুই লেগে দুই বোন ব্রোন্তে ক্যাম্পবেল ও কেইট ক্যাম্পবেল এই ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করেন। বিশ্বরেকর্ড গড়তে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের সময় লাগে তিন মিনিট ৩০.৬৫ সেকেন্ড। এর আগের রেকর্ডটা ছিল ২০১৪ সালে। সেবার গ্ল্যাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ৪ গুনিতক ১০০ মিটার ৩ মিনিট ৩০.৯৮ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে বিশ্বরেকর্ডও ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। এই ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার পর ৩ মিনিট ৩১.৮৯ সেকেন্ডে টাইমিং নিয়ে রৌপ্য জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। আর ৩ মিনিট ৩২.৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে কানাডা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সাঁতারুদের হারিয়ে স্বর্ণ পদক জিতে দারুণ রোমাঞ্চিত অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু দল। ব্রোন্তে ক্যাম্পবেল তো এটাকে বিস্ময়কর বলেই মন্তব্য করেছেন, ‘এটা সত্যিই বিস্ময়কর। আমি তো যেন পানির উপর দিয়েই লাফাচ্ছিলাম।’ তবে কেইট ক্যাম্পবেল নাকি আগে থেকেই জানতেন! প্রতিযোগিতার শেষে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেটি লিডেকির বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটাই প্রকৃত সম্মানের। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমি আগে থেকেই জানতাম যে তার কোন সুযোগ থাকবে না।’ এদিকে রিও অলিম্পিকে নিজের প্রথম ইভেন্টে জ্বলে উঠতে না পারায় হতাশ বিস্ময় বালিকা লিডেকি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘রৌপ্য পদক এবং রেকর্ড নিয়ে আমরা মোটেই সন্তুষ্ট নই।’ মেয়েদের আগে রিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম স্বর্ণ পদক উপহার দেন ম্যাক হর্টন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ৩ মিনিট ৪১.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে পুরুষদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে প্রথম হন তিনি। সাইক্লিংয়ে বেলজিক গ্রেগের স্বর্ণ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রিও অলিম্পিকে সাইক্লিংয়ে রোড রেস ইভেন্টে প্রথম স্বর্ণ পদক জিতেছেন বেলজিয়ামের গ্রেগ ভ্যান আভেরমেট। ২৩৭.৫ কিলোমিটারের কোর্স শেষ করতে গ্রেগ সময় নেন ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট ০.০৫ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে রৌপ্যপদক জিতেছেন ডেনমার্কের ফাগসান ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন পোল্যান্ডের রাফাল মাজকা। কোপা কাভানায় অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে যেন উড়ছেন গ্রেগ। রোড রেসে ১৯৫২ সালের পর দেশকে প্রথম স্বর্ণ উপহার দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী গ্রেগ। অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের পর তিনি বলেন, আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমি জিতেছি। সত্যি এ অনুভূতি ব্যক্ত করার নয়। এই রোড রেসারের এটাই প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ। এ কারণেই উচ্ছ্বাসের পরিমাণ বেশি। এর আগে তিনি ট্যুর ডি ফ্রান্সের ব্যক্তিগত ইভেন্ট জিতেছেন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। ভুয়েল্টা এস্পানায় জিতেছেন ২০০৮ সালে। সাইক্লিং ক্রেজি পরিবারে জন্ম গ্রেগের। এ কারণে তার শুরুটা হয় পরিবার থেকেই। তারা বাবা ও দাদা দু’জনই ছিলেন পেশাদার সাইক্লিস্ট। ছোটবেলায় হাতেখড়ি হলেও ১৯ বছর বয়সে পেশাদারী অঙ্গনে আসেন গ্রেগ। এর আগে অবশ্য ফুটবলেও সখ্য ছিল। করতেন গোলকিপিং। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাইক্লিংয়ে বেছে নিয়ে যে ভুল করেননি সে প্রমাণ রাখলেন রিওতে। আরচারি দলগততে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বর্ণ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়ে আরচারির পুরুষ দলগত বিভাগের স্বর্ণ পদক জিতে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার আরচাররা ৬-০ পয়েন্টে হারায় মার্কিন আরচারদের। কোরিয়ানদের স্বর্ণ জয়ে নেতৃত্ব দেন তিন আরচার কিম উ-জিন, লি সেনগুইন ও কু বন-চ্যান। ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলেন ব্রাডি এ্যালিসন, জাক গ্যারেট ও জাকে কামিনিস্কি। মূলত ২৩ বছর বয়সী বন-চ্যানের নৈপুণ্যে সহজেই স্বর্ণ পদক জয় করে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। ফাইনালে তার ছয়টি তীরই লক্ষ্যের ঠিক মাঝে লাগিয়ে সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট করে পান। এই ইভেন্টে চীনকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার তীরন্দাজরা। আরচারির পুরুষ দলগত ইভেন্টে এটি কোরিয়ার পঞ্চম স্বর্ণ পদক। এর আগে তারা ১৯৮৮, ২০০০, ও ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয় করে। মাঝখানে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে স্বর্ণ হারিয়েছিল তারা। এর আগে বাছাইয়েই এবারের গেমসের প্রথম বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম উ-জিন। আরচারির বাছাইয়ে ৭২ এ্যারো র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে রেকর্ড ৭০০ স্কোর গড়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ান চ্যাম্পিয়ান। কিম ভাঙেন নিজ দেশেরই ডং হায়াঙের রেকর্ড। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ৬৯৯ স্কোর গড়েছিলেন ডং। এবার বাছাইয়েই সেটা টপকে যান ২৪ বছর বয়সী কিম।
×