ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এবার আকিবের ক্লাসে মাশরাফিরা

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ৪ আগস্ট ২০১৬

এবার আকিবের ক্লাসে মাশরাফিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হাই পারফর্মেন্স প্রোগ্রামের (এইচপি) ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদের কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের শিক্ষা নিয়েছেন। এইচপির ১৭ পেসার তিনদিন ধরে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও আকিবের কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের ক্লাস নিচ্ছেন। যদিও দুইদিন (বুধবার ও আজ) শুধু শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মাশরাফিরা। আকিবের ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, শফিউল ইসলাম ও মুক্তার আলী। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে থাকায় আকিবের কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের শিক্ষা নিতে পারছেন না মুস্তাফিজ। কেমন কাটল সেশন? প্রথমদিনের ক্লাস শেষে জাতীয় দলের পেসারদের কাছ থেকে সবারই এ একটি প্রশ্নই ছিল। জবাব দিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। জানালেন, ‘হ্যাঁ, ভালই। আসলে দুই বা তিন দিন তো বেশি সময় না। টেকনিক্যালি কিছু জিনিস শিখিয়েছেন। মেনটালি স্ট্রং হওয়া যাবে কিভাবে এসব শিখিয়েছেন। এসব বিষয়ে কথা বলেছেন। একদিন বা দুইদিনে টেকনিক্যালি কিছু করা যায় না। যে জিনিসগুলো দরকার ওই জিনিসগুলোই শিখিয়েছেন।’ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন করছেন আকিব জাভেদের সঙ্গে। কোন পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন? শফিউল বললেন, ‘যে যেভাবে শেখায় ওইভাবে শিখতে পারলেই হয়। একদিনের কথাবার্তা বা কাজে তো পার্থক্য বোঝা যায় না। একেক জন একেক দিকে শেখানোর দিক থেকে দক্ষ। আকিব জাভেদ তো টেকনিক্যালি বা অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি। যেহেতু সময় অনেক অল্প বেসিক জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছেন।’ আপনার নিজের কিছু জানার ছিল তার কাছে? শফিউল জানান, ‘পেস কিভাবে বাড়ানো যাবে, আমরা নতুন বল, পুরনো বলে বা সেমি নিউ বলে আমরা কি করব বা কিভাবে উন্নতি করব এসব বিষয়ে কথা হয়েছে। যে জিনিসগুলো দেখিয়েছেন ওসব যদি আমরা করতে পারি সামনে আমরা ভাল কিছু পাব।’ অনেকদিন একাদশের বাইরে। এখন ফেরাটাও চ্যালেঞ্জ। তো নিজেকে নিয়ে কি ভাবছেন? শফিউল চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে চ্যালেঞ্জিং জিনিসটা খুব ভাল লাগে আমার। পেছনে যত বেশি মানুষ থাকবে আমি তত বেশি নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। আগে প্রতিযোগিতা কম ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশ দলের যে অবস্থা একজনের পেছনে আর পাঁচজন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি খারাপ করলে আরেকজন আসবে। তো এটাতে নিজের পারফর্মেন্সটা আরও ফুটে ওঠে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের রেজাল্টটা এই জন্যই ভাল। ওপেনার, মিডল অর্ডার, পেসার বা স্পিনার সবার পেছনে চার-পাঁচজন করে আছে। একজন বের হয়ে গেলে ওই জায়গাটায় আবার ফেরাটা কঠিন। এ জন্যই সবাই শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। যখন সুযোগ আসবে আমি ভাল করার চেষ্টা করব।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু বলে মনে হয়? ২০১৪ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে জড়ানো শফিউল বললেন, ‘মূল একাদশে জায়গা পাব কি পাব না এটা তো পরের কথা। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। একাদশে থাকব কি থাকব না এটা নির্বাচক বা কোচদের হাতে। যাদের ভাল মনে হবে তাদেরই নেবে। যদি আমাকে মনে করে তাহলে নেবে। যদি থাকি ভাল কিছু করার চেষ্টা করব আর না থাকলে চেষ্টা করব পরবর্তীতে ঢোকার।’
×