ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আমেরিকার গণতন্ত্র কতটা পথ পেরোলো?

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৩ আগস্ট ২০১৬

আমেরিকার গণতন্ত্র কতটা পথ পেরোলো?

আমেরিকার গণতন্ত্র কতটা পথ পেরোলে, তবে একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন সে দেশে? উত্তর জানা নেই কারও। কিন্তু বিশ্বের প্রথম গণতন্ত্রের দেশে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে সময় লেগে গেল সোয়া ২শ’ বছরের বেশি। ইতিহাসে ঢুকে গেলেন হিলারি ক্লিনটন। গল্পটা শুরু হলো খুব সাধারণ ভাবে। ‘১৯৭১-এর বসন্তে দেখা হয়েছিল ওর সঙ্গে’ ’৬৯ বছরের যে মানুষটি ডেমোক্রেট কনভেনশনে এ কথা বলছেন, তাঁর হাত আর গলা ঈষৎ কাঁপছে। কারণ তিনি সেই মানুষটিকে নিয়ে কথা বলছেন, যিনি তাঁকে গত ৪৫ বছর ধরে মুগ্ধতায় ভরিয়ে রেখেছেন। তাঁর নাম হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। গত ২৮ জুলাই মঙ্গলবার রাতে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যতিক্রমী এক বক্তৃতায় তুলে আনলেন তাঁর স্বামী এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। চার দশক ধরে প্রতি চার বছর অন্তর এমন বক্তৃতা অনেক দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ফিলাডেলফিয়ায় কনভেনশন মঞ্চের মুহূর্তটা ছিল অন্য রকম। ডেমোক্রেটিক দল থেকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রথম মহিলা পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পরেই এক প্রস্থ ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছেন হিলারি। ৪২ মিনিটে হিলারিকে আলাদা চোখে যেন ফিরে দেখলেন বিল। তাঁদের প্রেম, দাম্পত্য জীবন থেকে রাজনৈতিক কেরিয়ারগ্রাফ বাছাই করা শব্দে হিলারির প্রশংসায় মুখর হয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আর গোটা দুনিয়া শুনেছে এক অনবদ্য প্রেমের কাহিনী। তবে সেখানে শুধুই ছবির মতো সব কিছু নয়। বাস্তবে আর পাঁচটা মানুষের মতোই সেখানেও ওঠাপড়া-আঘাত-আনন্দ-অভিমান মিলেমিশে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ৯৮ দিন বাকি। আগামী ৮ নবেম্বরের নির্বাচনে নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের অধিপতি। গত পাঁচ মাসে দলীয় সদস্যদের মধ্যে প্রাইমারি নির্বাচনের প্রচারণা এবার গড়াচ্ছে আমজনতার ভোটারের কাছে। দলীয় সম্মেলন শেষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকানের ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। এরপর ৪ অক্টোবর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিতর্ক। ৯ অক্টোবর ও ১৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের নীতি ও কর্মসূচী স্পষ্ট করবেন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বিভেদমূলক প্রচারণা চলছে এবারের নির্বাচনে। ফিলাডেলফিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভাষণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করেন হিলারি। ৬৮ বছর বয়সী হিলারি বলেন, ‘আমার জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের কথা চিন্তা করিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমাদের দেশকে তিনি একটি নেতিবাচক, বিভেদমূলক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চান। আমি শুধু আপনাদের বলতে চাই, আমরা উন্নত হয়েছি, আরও এগিয়ে যেতে কাজ করতে চাই।’ অন্যদিকে, কলারোডায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রতীক’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবৈধ অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে প্রচারণা চালান। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে শ্বেতাঙ্গ কর্মজীবী শ্রেণী বেশ আহ্লাদিত বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তিনি আবারও ঘোষণা করেন, আমরা কখনোই সিরীয় শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব না। এর আগে এবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারি জানেন না, কিভাবে জয়লাভ করতে হয়।’ পেনসিলভানিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল প্রার্থী জোশ শাপ্রিও বলেন, ‘ ডেমোক্রেটিক দল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন। এটা তাদের জয়ের জন্য ইতিবাচক।’ রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রচারণা মূলধারায় নেই।’ অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক দলকে আক্রমণ করে ট্রাম্পের প্রচারণা কমিটির চেয়ারম্যান পল মানাফর্ট বলেন, ‘আমেরিকা যদি এখন আঁধারে পড়ে থাকে, তবে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ডেমোক্র্যাট দলের গত সাত বছরের শাসন।’ হতে পারেন ছোট্ট একটা দেশলাই কাঠি, কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়ার ক্ষমতা তিনি রাখেন। গানের কথার আড়ালে হিলারি ক্লিনটনের প্রতি এভাবেই তাঁদের সমর্থন উজাড় করে দিলেন হলিউডের তারকারা। ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় সম্মেলনে হিলারির সমর্থনে মঞ্চ মাতালেন অভিনেত্রী-পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস, লেনা ডানহ্যাম, এ্যালিসিয়া কিচ, আমেরিকা ফেরেরা। রইলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপও। এদিন তাঁর সমর্থনেই মঞ্চে একের পর এক হাজির হলেন হলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নকল করে প্রথম চমক দেন অনুষ্ঠান সঞ্চালিকা এলিজাবেথ। তবে তাঁর দ্বিতীয় এবং মূল চমকটি ছিল হিলারির সমর্থনে তৈরি ‘ফাইট সং’য়ের ভিডিও। বিল ক্লিনটনের বক্তৃতার পর মঞ্চে দেখানো হয় ওই ভিডিওটি। ভিডিওর শুরুতেই এলিজাবেথের গলায় শোনা যায়, ‘লাইক আ স্মল বোট ইন দ্য ওশন/সেন্ডিং বিগ ওয়েভ্স, ইন দ্য মোশন..’। তারপর একে একে গলা মেলান অভিনেত্রী আইশা টাইলার, জেন ফন্ডা, ‘আ ওয়াক টু রিমেমবার’ খ্যাত ম্যান্ডি মুর। একা হলেও বড় মাপের কিছু করে দেখানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে লেখা এই গানটি রেচেল প্ল্যাটনের অন্যতম ‘হিট সিঙ্গল’। এরপর মঞ্চে আসেন মেরিল। পরনে ফরাসি ডিজাইনার ক্যাথরিন মালাঁদ্রিনোর তৈরি ‘আমেরিকান ফ্ল্যাগ ড্রেস’। এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ও এই পোশাকেই দেখা গিয়েছিল মেরিলকে। গানের কথার সূত্র ধরেই দর্শকদের তিনি প্রশ্ন করেন, ‘লড়াই করার আগুন আমাদের মধ্যে এখনও আছে তো। গত ৪০ বছর ধরে হিলারি নিজের মধ্যে সেই আগুন বয়ে নিয়ে চলেছেন।’ হিলারির সঙ্গে মেরিল তুলনা টানেন আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সেনানী ডেবোরা স্যামসনের। ডেবোরা ওই যুদ্ধের সময় পুরুষের সাজে লড়াই করেছিলেন। বক্তৃতার শেষে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে মেরিল বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আগামী নবেম্বরেও আপনারাই ইতিহাস তৈরি করবেন। কারণ, হিলারি ক্লিনটনই হবেন আমাদের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট।’ তবে জনপ্রিয়তার জরিপে এই মুহূর্তে হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। হতাশা ও ক্ষোভকে উসকে দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তায় ট্রাম্প এগিয়ে আসছেন। তবে ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে রিপাবলিকান শিবিরে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। জনমত জরিপে আবারও ট্রাম্পের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেলেন হিলারি ক্লিনটন। শুক্রবার প্রকাশিত রয়টার্স ও ইপসোস পরিচালিত যৌথ জরিপের ফলে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে ৪১ শতাংশ ভোটার হিলারিকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন ৩৫ শতাংশ ভোটার। অন্যদের সমর্থন করেছেন ২৫ শতাংশ। গত ২৫ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত অনলাইন জরিপে এক হাজার ৪৩ জন ভোট দেন। রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনের পর পরিচালিত এক জরিপে ট্রাম্প হিলারিকে পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলনের পর জরিপে আগের অবস্থান ফিরে পেয়েছেন হিলারি। এদিকে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে তিন বা চারটি অঙ্গরাজ্যে তাঁর জয় নিশ্চিত করতে হবে। হিলারির দিকে ঝুঁকে থাকা ওই সব অঙ্গরাজ্যই হয়ে উঠবে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র। ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, ওহাইও ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এখনও মনস্থির না করা কয়েক লাখ ভোটারকে লক্ষ্য করে চলবে নির্বাচনী লড়াই। ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া ও ওহাইও অঙ্গরাজ্যে হিলারির ভিত মজবুত। ১৯৮৮ সালের পর পেনসিলভানিয়ায় কোন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জয়লাভ করতে পারেননি। জনমত জরিপে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে হিলারির এগিয়ে থাকা রিপাবলিকানদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিপাবলিকান পার্টির দিকে ঝুঁকে থাকা নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য নিয়েও দুশ্চিন্তা আছে। এই অঙ্গরাজ্যের ব্যাপক কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার এবং উদারনৈতিক শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ট্রাম্পের কোন জনপ্রিয়তা নেই। ট্রাম্পকে নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে এখন আর কোন প্রকাশ্য বিরোধিতা নেই। তারপরও উদারনৈতিক রিপাবলিকানদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে তেমন উৎসাহ নেই। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য এখন এই তিন-চারটি অঙ্গরাজ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। ট্রাম্প ও তাঁর রানিংমেট মাইক পেন্স এসব অঙ্গরাজ্য চষে বেড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলের অধিকাংশ এসব অঙ্গরাজ্যে ব্যয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপাবলিকান কৌশলবিদ জন বারবেন্ডার বলেছেন, ট্রাম্পের পক্ষে পেনসিলভানিয়ায় জয় সম্ভব। পেনসিলভানিয়ায় জয়ের লক্ষ্যে উসকানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালানোর প্রস্তুতিও চলছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের টেরি ম্যাকাউলিফি বলেছেন, তাঁর অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালিয়ে ট্রাম্পের শিবিরকে ধরাশায়ী করা হবে। শুধু ভার্জিনিয়া নয়, ফ্লোরিডার মতো অঙ্গরাজ্যেও হিলারি জয়ী হবেন বলে তাঁর মত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৯৯২ সালের পর থেকে ডেমোক্রেটরা ১৮টি অঙ্গরাজ্যে নিশ্চিত জয় পেয়ে আসছেন। নির্বাচনী ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ডেমোক্রেটদের ধারণা, তাঁদের ২৪২টি ইলেকটোরাল ভোটের নিশ্চিত ভিত্তি রয়েছে। গত জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী, হিলারির প্রচারণা তহবিলে রয়েছে ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ট্রাম্পের তহবিলে রয়েছে তার অর্ধেকেরও কম ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে মাঠ গরমের নির্বাচন। দলীয় বাছাইপর্বে মহড়া দেখা গেছে। পাল্টাপাল্টি আক্রমণের আসল খেল এখন শুরু হবে। এদিকে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রেডিও উপস্থাপক ডন ডিবার বলেছেন, ১৯৬২ সালের ১৩ দিনের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের চেয়েও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর বিষয়টি আরও কাছাকাছি রয়েছে। ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন সম্প্রতি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, দেশের পরমাণু অস্ত্রের বোতামে যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত যেতে না পারে। তিনি এ বক্তব্য দিয়ে মূলত বলতে চেয়েছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। হিলারির এ বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিশ্লেষক ডন ডিবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছেন।
×