ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত গণমুক্তি ফৌজ

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীন সংঘর্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২ আগস্ট ২০১৬

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীন সংঘর্ষের আশঙ্কা

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আন্তর্জাতিক শালিস আদালত সম্প্রতি যে রুলিং দিয়েছে তাকে বেজিংয়ের কর্তৃপক্ষ সেটি আরও জোরালভাবে মোকাবেলা করুক, দেশটির সেনাবাহিনীর কোন কোন অংশ এখন এ বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আরও মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসতে পারে, এ থেকে সে রকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে কোন কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। হেগের স্থায়ী শালিস আদালত ১২ জুলাই দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে যে রুলিং দিয়েছে চীন তা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই রুলে চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ফিলিপিন্সের দাবি মেনে নেয়া হয়। শালিসের আইনগত প্রক্রিয়ার কোন পর্যায়ই চীন অংশ নেয়নি। চীনের দৃষ্টিতে এই শালিস ছিল একটি প্রহসন যার নেপথ্যে ওয়াশিংটনের উস্কানি ছিল। এই রুলিং চীনে জাতীয়তাবাদী চেতনা উস্কে দিয়েছে। রায় ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিনই এখানে ওখানে বিক্ষোভ হচ্ছে। অত্যন্ত কড়া ভাষায় সম্পাদকীয় ছাপছে পত্রিকাগুলো। এতদসত্ত্বেও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না। বরং এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিতই দিয়েছে বেজিং। কিন্তু সেনাবাহিনীর ভেতরের কোন কোন মহল এখন বিষয়টি কঠোরভাবে মোকাবেলার জন্য সরকারের প্রতি চাপ দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানতে পেরেছে যে, দক্ষিণ চীন সাগরে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে গণমুক্তি ফৌজ। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামকে কম্বোডিয়া আগ্রাসনের যে জবাব তৎকালীন চীনা নেতা দেং জিয়াও পিং দিয়েছিলেন বর্তমান পরিস্থিতি সে রকম কিছু করার জন্য চীনের সেনাবাহিনী তৈরি আছে। অনানুষ্ঠানিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সরকারীভাবে বেজিং এ বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীর ওপর নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতে চান। তিনি চান না তার নেতৃত্বের প্রতি কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ আসুক। যে কোন যুদ্ধে জয়ের জন্য গণমুক্তি ফৌজের সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার বিষয়টি তিনি নিজে তত্ত্বাবধান করছেন। এর জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা। আদালতের রুলিং কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পরিণতি কোন্ দিকে গড়াবে তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। আগামী মাসে চীনে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এখানে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠুক, স্বাভাবিকভাবেই বেজিং তা চাইবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণমুক্তি ফৌজের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যা করার তা তারা করবে, আমাদের যা করার তা আমরা করব। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় যে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপে যাওয়ার পক্ষপাতী। তবে গণমুক্তি ফৌজ এখন কোন পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হবে তা নিশ্চিত নয়। এই মুহূর্তে ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনামকে টার্গেট করে দক্ষিণ চীন সাগরে নজরদারি বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে বলে সেনা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
×