ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ পেরিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৩১ জুলাই ২০১৬

১৮ পেরিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়

জাতিকে উচ্চশিক্ষায় আলোকিত করতে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। তেমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয় গণবিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৮ সালে। সম্প্রতি এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮ পেরিয়ে ১৯ বছরে পদার্পণ করেছে। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৮ জুলাই উদযাপিত হয়েছে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আর এই উদযাপন অনুষ্ঠানের সূচনা হয় উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ র‌্যালির মাধ্যমে। আবীরের রঙে রঙিন হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। সবাই মেতে উঠে সেলফী উৎসবে। ক্যাম্পাস জীবনের এই বিশেষ স্মৃতিটুকু ফ্রেমে বন্ধী করার জন্য। এরপর বেলা ১১টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্ধানে : ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সার্বিক প্রেক্ষাপটসহ তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আবু রায়হান, রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক রাজীব হায়দার রোমান। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে আলোচনায় অংশ নেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরউল্লা চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দেলওয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলীসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদরা। দিনের শেষে গণবির সঙ্গীত বিভাগের প্রধান এনায়েত-এ মওলা জিন্নার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী। প্রথমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের গান, নাচ, আবৃতি আর অভিনয়ে মুখরিত হয়ে উঠে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মিলনায়তন। মেহেদী তারেক
×