ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চরম অব্যবস্থাপনায় হকি স্টেডিয়াম

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৩ জুলাই ২০১৬

চরম অব্যবস্থাপনায় হকি স্টেডিয়াম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলছে হকির আঁতুর ঘর মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম। যত্রতত্র ময়লা পড়ে নষ্ট হচ্ছে বহুল আলোচিত নীল টার্ফ। নেই কোন নজরদারি। ফ্লাডলাইটের অভাবে আয়োজন করা যাচ্ছে না কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ। হকি স্টেডিয়ামে গিয়ে ঢুকলেই মনে হতে পারে এটা বুঝি সদ্য জেগে ওঠা কোন নতুন চর অথবা ধু-ধু কোন রুক্ষ মরুভূমি! টার্ফের কোথাও ফাটা, কোথাও বা এবড়ো-থেবড়ো, কোথাও জমে গেছে শ্যাওলা! মাঠের পাশেই রাখা আছে পুরনো-সবুজ টার্ফের স্তূপ। গত এক বছরে টার্ফের রং পাল্টে গিয়ে হলুদ হওয়ার উপক্রম। ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে দুই বান্ডিল। তবুও কারও নেই ভ্রুক্ষেপ। দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা ফেডারেশন অবশ্য ‘উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো দায়টা চাপিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ওপর। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সভাপতি লিয়েন্দ্রো নেগ্রের উদ্যোগে তিন লাখ ডলারের স্ট্যান্ড টার্ফ মাত্র ৭৫ হাজার ডলারেই প্রায় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। তাই টার্ফের এই নিদারুণ অপচয়ে কষ্ট পান দেশের অনেক হকি খেলোয়াড় এবং হকিপ্রেমী। টার্ফের বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগেই ফ্লাডলাইট নিয়ে অন্ধকারে আছে ফেডারেশন। এ বছরের নবেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স হকি টুর্নামেন্ট ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাডলাইট না থাকায় তা সরিয়ে নেয়া হয় মালয়েশিয়ায়। জানা গেছে, ফ্লাডলাইট ও পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা অনুদান পেলেও ঠিক শেষ মুহূর্তে কোন এক অজ্ঞাত কারণে প্রকল্পটি ভেস্তে যায়! এত সব হতাশার মধ্যেই আশার আলো হয়ে রইল বিশ্ব হকি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২৭ এ থাকার খবর। কারণ আর মাত্র দুই ধাপ এগিয়ে ২৫-এর মধ্যে থাকলেই আগামী ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
×