ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানে হামলাকারী শফিকুলের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সাভারে গ্রেফতার, রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৮ জুলাই ২০১৬

গুলশানে হামলাকারী শফিকুলের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সাভারে গ্রেফতার, রিমান্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ১৭ জুলাই ॥ গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলাকারী নিহত পাঁচ জঙ্গীর একজন শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আশুলিয়া থেকে মিলন হোসাইন নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশুলিয়া থানা পুলিশ শনিবার তাকে গ্রেফতার করলেও ঘটনাটি জানা যায় রবিবার। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনে পুলিশ। শফিকুল ইসলাম বেশ কিছুদিন আশুলিয়ার ভাদাইলে একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করে। মিলন হোসাইন তাকে ওই চাকরি জোগাড় করে দিয়েছিলেন। মিলন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বেতকিবাড়ি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি সর্বশেষ আশুলিয়া থানা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ডিইপিজেড সংলগ্ন পবনারটেক এলাকায় পিয়ার আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে ভাদাইল এলাকা থেকে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পিয়ার আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ও মিলনের স্ত্রীর দাবি, বুধবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মাদারি মাদবর মেমোরিয়াল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, মিলন ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। মিলনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল। এর আগে তারা আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকায় ন্যাশনাল ইনিসিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি করতেন। পারিবারিক সমস্যার অজুহাতে শফিকুল গত বছরের ১০ ডিসেম্বর চাকরি ছেড়ে চলে যান। আর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চাকরি ছেড়ে পাশের পবনারটেকে পিয়ার আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার চাকরি নেন মিলন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিদ্যালয়ে ইলিয়াস আলী ও নূর মোহাম্মদ নামের আরও দুই শিক্ষক ছিলেন। এ দুইজনের সঙ্গে মিলন ও শফিকুলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ নূর মোহাম্মদকে আটক করে। এর আগেই ইলিয়াস চাকরি ছেড়ে গা ঢাকা দেন। আশুলিয়া থানার এসআই শহীদুল ইসলাম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আশুলিয়ায় অবস্থানের সময় শফিকুল ইসলাম মাদারি মাদবর মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষক নূর মোহাম্মদের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তার সঙ্গে ওই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক মিলন, ইলিয়াস আলী ও নূর মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এদের মধ্যে শফিকুল হলি আর্টিজানে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত হন। মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নূর মোহাম্মদকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। আর ইলিয়াস পলাতক রয়েছে। তবে মিলনের স্ত্রী জহুরা বেগমের দাবি, জঙ্গী তৎপরতায় তার স্বামীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। চাকরির সুবাদে শফিকুলসহ অন্যদের সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক ছিল।
×