ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণদের দৃষ্টি জাতীয় দলে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৮ জুলাই ২০১৬

তরুণদের দৃষ্টি  জাতীয় দলে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একজন ক্রিকেটার যখন ক্রিকেটের বড় পর্যায়ে যেতে থাকেন, তখন লক্ষ্য একটাই হয়ে দাঁড়ায়; জাতীয় দলে খেলা। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। বিসিবির হাই পারফর্মেন্স প্রোগ্রামের (এইচপি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে রবিবার। ফিটনেস ক্যাম্প দিয়েই প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে। এ ক্যাম্পে যে ২৫ ক্রিকেটার আছেন, সবারই লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা। এইচপিতে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান তালিকায় সাদমান ইসলাম, মেহেদী হাসান মারুফ, আব্দুল মজিদ আছেন। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তালিকায় মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোঃ আল আমিন, তাসামুল হক রুবেল, সালমান হোসেন ইমন রয়েছেন। অলরাউন্ডার তালিকায় মেহেদী হাসান, সাইফুদ্দিন, আলাউদ্দিন বাবু ও পেস বোলার তালিকায় মোঃ আশিকুজ্জামান, মেহেদী হাসান রানা, শুভাশিষ রায়, নুর আলম সাদ্দাম, আবু হায়দার রনি, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী আছেন। স্পিন বোলার তালিকায় সানজামুল ইসলাম, নুরু হোসেন মুন্না, তানভির হায়দার খান ও সাকলায়েন সজিব এবং উইকেটরক্ষক তালিকায় ইরফান শুকুর ও জাকির হাসান রয়েছেন। সবারই স্বপ্ন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো। এইচপির প্রধান কোচ সাইমন হেলমটকে ছাড়াই শুরু হয়েছে প্রোগ্রাম। দেশী কোচরাই মূলত প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধানে আছেন। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম পুরো প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। পস বোলিং বিভাগে মিজানুর রহমান বাবুল, ব্যাটিং বিভাগে জাফরুল এহসান, স্পিন বিভাগে ওয়াহিদুল হক গণি, ফিল্ডিং বিভাগে সোহেল ইসলাম, উইকেটকিপার বিভাগে গোলাম মর্তুজা কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। একজন বিদেশীও আছেন। তিনি এইচপির ক্রিকেটারদের ট্রেনার অস্ট্রেলিয়ান কোরে বকিং। প্রোগ্রামের শুরুতে তার গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি। ফিটনেস ক্যাম্পই যে শুরুতে হচ্ছে। কোরে তাই বললেন, ‘আমাদের ক্যাম্পটি সংক্ষিপ্ত সময়ের। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে থাকছে ফিটনেস নিয়ে নিবিড় কাজ। এরপর সবার ব্যক্তিগত স্কিল নিয়ে কাজ করা হবে। ম্যাচের পরিস্থিতিতে অনুশীলন হবে। শেষদিকে থাকবে কিছু ম্যাচ খেলা।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কয়েকটি পর্যায় থাকবে আমাদের। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কয়েকজন খুব ভাল অবস্থায় আছে। কয়েকজনের ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজের প্রয়োজন আছে। ওদের উন্নতির জন্য আলাদা করে ব্যক্তিগত প্রোগ্রাম করে দেয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা হলো এই ক্রিকেটারদের অন্তত কয়েকজনকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। আগামী মাস দুয়েকে এটিই আমাদের লক্ষ্য।’ ক্যাম্পের প্রথমদিনে এইচপিতে থাকা ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, কিভাবে কার্যক্রম চলবে। এইচপিতে অনেকেই এর আগেও থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আবার অনেকের কাছে প্রথমবারের মতো সুযোগ ধরা দিয়েছে। আবার পেস বোলার হান্ট থেকেও সুযোগ মিলেছে। প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান যেমন বললেন, ‘আমি তো প্রথমবারের মতো এই ধরনের প্রোগ্রামে এলাম। দুই মাস ট্রেনিং সেশন হবে। যদি ভাল কিছু করতে পারি, ফিটনেসের লেভেলটা বাড়াতে পারি, স্কিলে আরও উন্নতি করতে পারি তাহলে বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে সামনে। এসব কাজে দেবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। তো ধাপে ধাপে তো অবশ্যই আগাতে হবে। ধাপে ধাপে না আগালে সে জাতীয় দলে খেলতে পারবে না।’ পেসার হান্ট থেকে এইচপিতে সুযোগ পাওয়া এবাদত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি পেসার হান্ট থেকে আসলাম। (সারোয়ার) ইমরান স্যার আমাকে বিশেষভাবে এখানে রেখেছেন। এইচপিতে আসার পর অনেক ভাল লাগছে। আমি এই সুযোগটা গ্রহণ করব। আমার প্রথম টার্গেট জাতীয় দল পর্যন্ত খেলা। আর দ্বিতীয়ত এটা একটা সুযোগ প্রমাণ করার যে আমি একজন ভাল বোলার বা ভাল খেলোয়াড়। এখানে ভাল কিছু শিখতে চাই যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। পরবর্তী টার্গেট সামনে তো বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে। এখানে সুযোগ পেলে আর ভাল করতে পারলে আমার জন্য ভাল হবে। তারপর জাতীয় দলে যদি ডাক পাই।’ প্রথমবারের মতো এইচপিতে সুযোগ পাওয়া অলরাউন্ডার আল আমিনের অবশ্য এখনই জাতীয় দলে খেলার ভাবনা নেই। বলেছেন, ‘আমি নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডারই মনে করি। গোল সেট তো অবশ্যই আছে। এখন যে চিন্তটা আছে, শেষ প্রিমিয়ার লীগ শেষ করলাম, ওইখানে যে ল্যাকিংসগুলো আছে সেসব নিয়ে কাজ করব। আর ফিটনেসটা কিভাবে আরেকটু উন্নত করা যায়। তবে জাতীয় দল নিয়ে এখন চিন্তা করছি না। এখানে ভাল করলে সামনে হয়তো ‘এ’ দলের খেলা আছে। সব সময় আমি কাছেরটা নিয়ে চিন্তা করি। যেমন এই সময় আমি চিন্তা করছি এই ক্যাম্পে কি কি করা যায়।’
×