ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিট সফল করার অঙ্গীকার তেরেসা মের

বিশ্বে নতুন ভূমিকা চাই

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৩ জুলাই ২০১৬

বিশ্বে নতুন ভূমিকা চাই

ব্রিটেনের ভাবি প্রধানমন্ত্রী তেসেরা মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে তার দেশের জন্য নতুন ভূমিকা স্থির করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণা করা হয়। খবর টেলিগ্রাফের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মে ইইউর বাইরে তার দেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ব্রেক্সিট ব্রেক্সিটই’ বলে ঘোষণা করেন। এর আগে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যান্ড্রি লিডসম প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বেতার/টিভি উপস্থাপকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দেশের জন্য যে নেতৃত্ব প্রয়োজন, মে সেই নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বুধবার রানীর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করতে বাকিংহাম প্যালেসে যাবেন বলে ঘোষণা করেন। ঐদিন সন্ধ্যায় ব্রিটেনের ৭৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। তিনি পরদিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়। মে কমন্সসভার বাইরে তার ১০০ সমর্থকের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত বিজয় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন তিনি লিডসমের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা দেখান। লিডসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার আগে তার সহকর্মী কনজারভেটিভ এমপিদের সমালোচনার মুখে মুষড়ে পড়েন বলে টেলিগ্রাফকে জানান। একজন মা হিসেবে তিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বেশি উপযুক্ত বলে মন্তব্য করে তিনি সমালোচনার পাত্রে পরিণত হন। মে বলেন, আমি এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রচার চালাই। প্রথমত, ভবিষ্যতের কঠিন ও অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সময়ে দেশকে চালিয়ে নিয়ে যেতে শক্তিশালী, প্রমাণিত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, ইইউ ত্যাগ করার আলোচনায় ব্রিটেনের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা আদায় করা এবং বিশ্বে আমাদের জন্য নতুন ভূমিকা স্থির করা। ব্রেক্সিটের অর্থ ব্রেক্সিট এবং আমরা একে সফল করে তুলব। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত আমাদের দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন এবং তৃতীয়ও আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের এক শক্তিশালী নতুন ইতিবাচক দূরদৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। এটি এমন এক দেশের কল্পনা, যা কেবল বিশেষ সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয় লোকের জন্য কাজ করে না বরং আমাদের সবার জন্যই কাজ করে। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে তাদের জীবনযাত্রার ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ দিতে যাচ্ছি। আর এভাবেই আমরা এক উন্নত ব্রিটেন গড়ব। তিনি মধ্যবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। এর বদলে তিনি ২০২০ সালে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হবেন বলে কনজারভেটিভ এমপিদের কথা দেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, আমি মনে করি এ্যান্ড্রি লিডসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি স্পষ্ট যে তেরেসা মের প্রতি কনজারভেটিভ পার্লামেন্টারি পার্টির ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, আমি খুশি যে, মে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। মে শক্তিশালী, যোগ্য এবং আগামী বছরগুলোতে আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন হবে এমন নেতৃত্ব দেয়ার খুব সামর্থ্য তার রয়েছে। তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। এর কিছু পর কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি ঘোষণা করেন, মেকে কনজারভেটিভ পার্টির নয়া নেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করার মতো কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব মের রয়েছে। জনসন দলের নেতৃত্ব পদের জন্য মের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বলে মনে করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। জনসন বলেন, তেরেসা যে দলের একজন চমৎকার নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। তিনি ব্রেক্সিটের অর্থ ব্রেক্সিটই, আমরা ইইউ ত্যাগ করব বলে স্পষ্ট করায় আমি উৎসাহিত হয়েছি।
×