সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান গত ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেন। সৌদি ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্সের এ সফরকালে নতুন করে সৌদি সরকারের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আভাস মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সফরের শুরুতেই মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন সরকারকে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের অসুস্থতার খবর জানিয়েছেন। সৌদি সরকারের প্রধান দুই নির্বাহীর এমন অসুস্থতার খবরে এখন নতুন করে ক্ষমতার পালাবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রুস রিডেল এনবিসি নিউজকে গত শুত্রুবার এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানিয়েছেন, সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের প্রতিনিধি হয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফর। সৌদি সরকারের তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি মোহাম্মদ বিন সালমান হলেন বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের পুত্র। সেই সঙ্গে তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বপ্রাপ্ত। মার্কিন সরকারের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে বন্ধুত্ব স্থাপন করা তাঁর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্র সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাস্টন কার্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জাতিসংঘ প্রধান বান কি মুনের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। মার্কিন সরকার সৌদি ডেপুটি ত্রুাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি সরকারের মূল কর্তাব্যক্তি হিসেবেই গণ্য করেন। কারণ, তিনি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন। গত এপ্রিলে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেছিলেন। ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার শুরুতেই তেলের ওপর নিজ দেশের অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমানোর ঘোষণা দেন। এছাড়া সিরিয়া ও ইয়েমেন ইস্যুতেও তিনি বেশ তৎপর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্সের ক্ষমতার এমন আস্ফালনে সৌদি রাজপরিবারের অনেক সদস্যই নাখোশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবেই বিবেচনা করে। কারণ ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের সামর্থ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সন্দিহান।