ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দালাইলামাকে চীনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ ওবামার

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৭ জুন ২০১৬

দালাইলামাকে চীনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ ওবামার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একান্তে তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাইলামার সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে চীনের সঙ্গে আলোচনার জন্য উৎসাহিত করেছেন। বুধবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসির। চীনের আপত্তি সত্ত্বেও ওইদিন দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে মিলিত হয়েছিলেন। দালাইলামার সঙ্গে বিদেশী নেতাদের সাক্ষাতের নিন্দা জানিয়েছে চীন। দালাইলামাকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিবেচনা করে দেশটি। হোয়াইট হাউসের ম্যাপ রুমে দ্বাররুদ্ধ অবস্থায় কথা বলেন ওবামা ও লামা। এ জুটি এর আগেও একাধিকবার পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এই বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকের পরিকল্পনা করে থাকে, তবে তা তিব্বতের স্বাধীনতার প্রতি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীগুলোর কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অপরদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দালাইলামা ও চীনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন ওবামা। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জন আর্নেস্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তাই তিব্বতের স্বাধীনতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানায়নি। তিনি আরও বলেন, দালাইলামা ও প্রেসিডেন্ট ওবামা, উভয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ সম্পর্কের গুরুত্ব মূল্যায়ন করেছেন। বৈঠকটি হওয়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান এমন ছিল এবং বৈঠকটি হওয়ার পরও তাই রয়েছে। একবার তিব্বতের বৌদ্ধধর্মীয় নেতা দালাইলামাকে ‘ভাল বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন ওবামা। ১৯৫৯ সালে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর ভারতে পালিয়ে যান দালাইলামা। বৌদ্ধধর্মীয় এই নেতা তিব্বতের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের কথা বললেও তিনি তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছে চীন। সাহারা মরুভূমিতে ৩৪ শরণার্থীর মৃতদেহ আলজিরীয় সীমান্তের কাছে সাহারা মরুভূমিতে ২০ শিশুসহ ৩৪ জন শরণার্থীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নাইজার। নাইজার সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছ, ছোট্ট মরুশহর আসামাকার কাছে এই মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোসোম মোহাম্মদ বলেন, পাচারকারীরা তাদের ফেলে চলে যাওয়ার পর তৃষ্ণার কারণে তারা মারা গেছেন বলে মনে হচ্ছে। শরণার্থীদের কাছে সাব-সাহারা আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পথ নাইজার। বোসোম মোহাম্মদ বলেন, মৃত ৩৪ শরণার্থীর মধ্যে নয় নারী ও পাঁচ পুরুষ পূর্ণবয়স্ক। ৬ থেকে ১২ জুনের মধ্যে তারা মারা যান। এদের মধ্যে দুইজন নাইজিরীয় বলে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও বাকিরা কোন দেশের তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বলছে, গত বছর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ নাইজারের অনুর্বর উত্তর আগাদেজ অঞ্চল অতিক্রম করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার অবৈধ শরণার্থী আলজিরিয়া গেছেন। এদের অধিকাংশই মালি ও নাইজার হয়ে সেখানে গেছেন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়াকে পারতপক্ষে এড়িয়ে চলছে মানবপাচারকারীরা। খবর বিবিসির।
×