ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক সুবিধা নিতে সময় নষ্ট করেননি ট্রাম্প

অরল্যান্ডো হামলার পর বিতর্কে প্রাধান্য পাবে সন্ত্রাসী হুমকি

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৪ জুন ২০১৬

অরল্যান্ডো হামলার পর বিতর্কে  প্রাধান্য পাবে সন্ত্রাসী হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অরল্যান্ডোর শনিবারের হত্যাকা-ের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি আরও উৎসাহিত হয়ে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, সন্ত্রাস মোকাবেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে তার উপর বেশি আস্থা রাখা যায়। খবর এএফপির। হত্যাকা-ে হতদের এখনও অনেকের পরিচয় জানা যায়নি, পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে যে, নিহত সন্দেহভাজন বন্দুকধারী সঙ্গে ইসলামপন্থীদের সম্পৃক্ততা ছিল কিনা। কিন্তু ট্রাম্প এই হত্যাকা- থেকে সুবিধা নিতে বিন্দু পরিমাণ সময়ও নষ্ট করেনি। এই ঘটনা মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারির কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প এই ঘটনাকে ইসলামী জঙ্গীদের কাজ বলে ওবামার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এর কারণ আমাদের নেতারা দুর্বল। আমি বলেছিলাম, এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হবে। আমি পরবর্তী হামলা ঠেকাতে ও জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছি। আমরা যদি কঠোর, স্মার্ট ও করিৎকর্মা না হই, তাহলে এই দেশ আর বেশি দিন থাকবে না। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলা মার্কিন নির্বাচনী প্রচারে কি প্রভাব ফেলবে, এমন প্রশ্নই উঠেছে। এ বিষয়ে কানেকটিকাটের কুইনিয়াপেয়াক ইউনিভার্সিটি পোলের সহকারী পরিচালক টিম ম্যালয় বলেছেন, মার্কিন নির্বাচনী বিতর্কে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টিই প্রাধান্য বিস্তার করবে এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এটি বিতর্কের পুরোভাগেই থাকবে। গত বছরের নবেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান বারনারদিনোতে এক মুসলিম দম্পতির হাতে ১৪ জন নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। ম্যালয় বলেন, সান বারনারদিনোর পর সন্ত্রাস দমন বিষয়টি ট্রাম্পের বক্তব্যের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে এক মতামত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধের আহ্বান সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সমর্থন করেছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে ট্রাম্প ও হিলারি সম্পূর্ণ ভিন্ন পন্থায় প্রচার চালাচ্ছেন এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় লিপ্ত রয়েছেন যে, অপরজন দেশ পরিচালনার যোগ্য নন। অপর এক জরিপে দেখা গেছে, ভোটাররা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সঙ্কট মোকাবেলায় ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি অনেক বেশি প্রস্তুত। তবে আইএসের হুমকি অনেক ভাল মোকাবেলা করতে পারবেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, অরল্যান্ডোর হামলার পরও যদি হিলারি ক্লিনটন ‘মৌলবাদী ইসলাম’ সম্পর্কে কিছু না বলেন তাহলে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি এই ঘটনায় সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি রবিবারের হামলাকে সন্ত্রাসী ও ঘৃণামূলক কর্মকা- বলে অভিহিত করেছেন। হিলারি এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে ও বিদেশে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় ওয়াশিংটন তার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করবে। সমকামীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের মুক্তভাবে, নির্ভয়ে বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমেরিকায় বিদ্বেষের কোনও স্থান হবে না।
×