ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন রানা দাশগুপ্ত

পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে মোদির হস্তক্ষেপ চাইনি, ১৪ দল লিপ সার্ভিস দিচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৪ জুন ২০১৬

পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে মোদির হস্তক্ষেপ চাইনি,  ১৪ দল লিপ সার্ভিস দিচ্ছে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ চলছে টার্গেট কিলিং। সামরিক বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনরা মনে করেন, কোন বিশেষ ব্যক্তি ও ধর্মের লোকজন নয়, রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণে উগ্রসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীগোষ্ঠী সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের বেছে বেছে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠেছে। তাদের লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশকে পরিণত করা। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা। এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রানা দাশগুপ্ত- ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত জনকণ্ঠকে বলেছেন, ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেননি। অন্যদিকে বিবিসি জানায়, পিটিআই তাদের বলেছে তারা রানা দাশগুপ্তের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করেছে। সোমবার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় অন্যদেশের সহায়তার প্রয়োজন নেই। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শÑ রাষ্ট্র, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশপ্রেমের অঙ্গীকার নিয়ে সকলে মিলে মাঠে নামলে গুপ্তঘাতকদের প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইনি -রানা দাশগুপ্ত ॥ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একের পর এক হত্যাকা- হচ্ছে উল্লেখ করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত জনকণ্ঠকে বলেছেন, হামলাকারীরা চায় না বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু বসবাস করুক। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্তমানে হামলা ও হত্যাকা- বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে এ বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ আহ্বান জানান। ভারতের এনডিটিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইটে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দানের জন্য মোদির বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলা উচিত। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী রানা দাশগুপ্ত বলেন, হিন্দুপ্রধান দেশ হিসেবে ভারতের উচিত কিছু করা। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।’ সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘পিটিআইয়ে প্রকাশিত সংবাদ সত্য নয়। সম্প্রতি এ সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে টেলিফোনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তাদের কাছে তুলে ধরি। সাক্ষাতকারের কোথাও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়নি। এদিকে রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণে মৌলবাদীরা সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বেছে বেছে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে বলে মনে করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, তবে সবচেয়ে বেশি হত্যাকা-ের শিকার হচ্ছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসব হত্যাকা-ের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য হিন্দুরা যেন অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছেড়ে যায়। পাশাপাশি এর মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই হত্যাকা- ঘটনা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সকল সম্প্রদায়ের বিশেষ ব্যক্তিদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ॥ একের পর এক হত্যাকা-ের প্রেক্ষিতে দেশের বিশিষ্টজন ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে পুলিশ বা সরকারের একার পক্ষে সুরক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। তাই জঙ্গীদের মূলে আঘাত করতে সর্বদলীয় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে হবে। শনিবার রাজধানীতে জঙ্গীবাদবিরোধী এক সেমিনারে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ বলেন, জঙ্গীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর কুশীলবদের নজর রাখতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন ও এর মদদদাতাদের আঁতাত ভেঙ্গে দিতে হবে। অন্যথায় দেশ নিরাপদ হবে না। কেননা, ভিনদেশী মদদ প্রবাহিত হয় দেশীয় পৃষ্ঠপোষকদের মাধ্যমে। তাই পৃষ্ঠপোষক থেকে জঙ্গীদের আলাদা করতে হবে। আব্দুর রশিদ জঙ্গীবাদের দানবীয় শক্তিকে বিনাশ করতে জনগণের এগিয়ে আসার প্রতিও জোর দেন। তার মতে, ১৬ কোটি মানুষের সবাইকে পুলিশের পক্ষে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি ম. হামিদ বলেন, জঙ্গীদের তৎপরতা আগেও ছিল। তবে এখন তারা কৌশল পাল্টেছে। বর্তমানে তারা সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তাই প্রতিরোধের দায়িত্ব প্রত্যেককেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার ভাবছে পুলিশ মোকাবেলা করবে। পুলিশ ভাবছে জনগণ মোকাবেলা করবে। আর জনগণ ভাবছে সরকার মোকাবেলা করবে। সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছে, কথা বলছে; কিন্তু দলগুলো এগিয়ে আসছে না। তাই জঙ্গীবাদ ঠেকাতে দলগুলোকে নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, জঙ্গীদের সমূলে আঘাত করতে হবে। এজন্য তিনটি পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও তাদের আঘাত করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আর অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। আবার সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলে সামাজিক শক্তিও দাঁড় করাতে হবে। আমরা যদি এভাবে মূলে আঘাত করতে পারি তবে দীর্ঘমেয়াদী ভাল ফল পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক আন্দোলন গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১১টি জেলায় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই তা করা হবে। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, চাপাতিতন্ত্রও কিন্তু একটা উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে চলছে। তাই আমাদেরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। একে শক্তি হিসেবে নিয়েই ওদের ওপর পাল্টা আঘাত করতে হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি ফোর্স মোতায়েন করে কঠিন হস্তে মূলে উৎপাটন করতে হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একেএম নূর-উন-নবী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে উগ্রসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীগোষ্ঠী একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করছে। বিশেষ লক্ষ্য অর্জনে তারা এসব হত্যাষজ্ঞ চালাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তাদের এ আকাক্সক্ষা কোন দিনই পূরণ হতে দেয়া যাবে না। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় অন্য দেশের সহায়তা প্রয়োজন নেই -ইনু ॥ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্য কোন দেশ বা সরকারের সহায়তা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশে চলমান চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাধারণ নাগরিক ছাড়াও সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দেয়া হচ্ছে। এটা সরকারকে বিব্রত করার জন্য করা হচ্ছে। তবে এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়নি। সোমবার দুপুরে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের একটি সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ দেশটির সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহায়তা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে ২০ হাজারের বেশি মন্দির আছে। সেখানে সুন্দরভাবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। সরকারের অবস্থানও নীতিগতভাবে অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেন, এখনকার গুপ্তহত্যা ধীরস্থিরভাবে বন্ধের চেষ্টা চলছে। সরকারের গায়ে হাত দিতে না পেতে তারা সাধারণ নাগরিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে। এজন্য সরকার দুঃখিত; কিন্তু কেউ পার পাবে না। ঐক্য পরিষদের অভিযোগ ॥ বেছে বেছে সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের হত্যার পর ক্ষমতাসীন দল ও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। রবিবার ১৪ দলের এক বৈঠকে সরাসরি এ অভিযোগ করেন ঐক্য পরিষদের এক নেতা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা কেবল মুখের কথায় কাজ সারছেন। জোরালো অবস্থান নিচ্ছেন না। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের হত্যা করা হচ্ছে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য। যুদ্ধাপরাধী ব্যক্তিদের বিচার বাস্তবায়নের এ পর্যায়ে সেই মুখচেনা চিহ্নিত মহল বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে খুনীদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। রানা দাশগুপ্ত বৈঠকে বলেন, আজকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো এবং নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, তারা আমাদের কাছে নানান সময় নানা কথা বলেছেন, কিন্তু আমাদের কাছে যেটা মনে হয়, সবই কেবল মুখের কথা (লিপ সার্ভিস)। আমরা মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার শিকার হয়েছিলাম। আর স্বাধীন বাংলাদেশে ৪৫ বছর পরেও আজকে আমরা একইভাবে ধ্বংসযজ্ঞ এবং গণহত্যার শিকার হচ্ছি। তিনি বলেন, পাবনা ছাড়া আর কোথাও সরকারী দল বা ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কোন নেতাকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, একের পর এক হত্যাকা-ে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নিরীহ মানুষকে অকারণে খুন করা হচ্ছে। অথচ এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তেমন কোন সমস্যা নেই। খুনীরা ধরা পড়ছে না, বের হচ্ছে না এর পেছনে কারা আছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে এখন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সম্প্রতি ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যা ও পঞ্চগড়ে যজ্ঞেশ্বর দাস অধিকারীসহ সংখ্যালঘুদের নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের মনে গলাকাটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। খুনীচক্র চিহ্নিত না হওয়ায় একের পর এক হত্যাকা- ঘটেই চলেছে বলে মনে করেন তিনি।
×