ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৈকতে অবৈধ দোকান অপরাধের আখড়া

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৩ জুন ২০১৬

সৈকতে অবৈধ দোকান অপরাধের আখড়া

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সমুদ্রসৈকতের অতি ব্যস্ততম ও পর্যটক সমাগম স্থান সুগন্ধা পয়েন্টে গড়ে ওঠা অবৈধ ঝিনুক মার্কেট অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই দোকানগুলোর আড়ালে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা অপরাধ। কথিত সভাপতি জালাল ও ফরিদের নেতৃত্বে প্রতিমাসে ২০ লাখের বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে ওখানে। একই সঙ্গে ইয়াবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- চালানো হচ্ছে সেখানে। জেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের নামেও জালাল-ফরিদ চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শহরের নতুন বাহারছড়া এলাকার বিচ বাইক ব্যবসায়ী আনোয়ার ইসলাম হিরুর কাছে চাঁদার জন্য গেলে চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তার গাড়ি রাখার ঘরটি নারকীয় কায়দায় ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসীরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, পুরো সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টজুড়ে শুধু চাঁদাবাজি নয়, ইয়াবা ও হেরোইন, মদ বিক্রতা, ছিনতাইকারী ও সমাজের গর্হিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত অপরাধীদের নিরাপত্তা দেয় ওই জালাল চক্র। নিজেকে ঝুঁপড়ি দোকানের (অবৈধ ঝিনুক মার্কেট) সভাপতি দাবি করে দাপট চালিয়ে যাচ্ছে। জালাল রীতিমতো একটি অপরাধী সিন্ডিকেট তৈরি করে নিয়মিত সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্টসহ পুরো সৈকত এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ পর্যটকদের নানা হয়রানি করে চলছে। অবৈধ ঝিনুক মার্কেটটি সমুদ্র সৈকতের ব্যস্ততম সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার সৌন্দর্য হানি ও পরিবেশ দূষিত করে চলছে। ঝুঁপড়ি দোকানগুলো যেমনিভাবে সৈকতের সৌন্দর্য হানি করছে, তেমনিভাবে কথিত ব্যবসার আড়ালে রাতের আঁধারে চলছে নানা অপকর্ম। ওসব অপকর্মের মূলহোতা জালাল ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে এসব করছে বলে দাবি করলেও তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের দোকানগুলোতে অবৈধ সংযোগে প্রতিমাসে লাখ টাকার বিদ্যুত চুরি করছে ওই জালাল। অভিযোগ রয়েছে, ওই দোকানগুলোতে রোহিঙ্গাসহ অপরাধীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা কর্মচারীরা দিনে দোকানি সাজলেও সন্ধ্যার পরপরই এদের রূপ পাল্টে যায়। এরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ওসব অপকর্মের নেতৃত্বদানকারী জালাল-ফরিদ সৈকত এলাকায় কেউ ব্যবসা করলে তাদের নিয়মিত চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেয় না।
×