ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কল্পবিজ্ঞানকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি ॥ সুইস পাইলট পিকার্ড

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৩ জুন ২০১৬

কল্পবিজ্ঞানকে বাস্তবে রূপ  দিচ্ছি ॥ সুইস পাইলট পিকার্ড

সুইজারল্যান্ডের পাইলট বার্ট্রান্ড পিকার্ড সৌরশক্তিচালিত বিমানে বিশ্ব পরিভ্রমণের মিশনে নেমে এবার আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়তে প্রস্তুত। পিকার্ড বলেছেন, তিনি কল্পবিজ্ঞানকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। মনোচিকিৎসক পিকার্ড সোলার ইমপালস-টু এর পরবর্তী মিশনের নেতৃত্ব দেবেন। আবহাওয়াবিদরা মহাসাগর পাড়ি দেয়ার জন্য সর্বোত্তম সময় হিসেবে পাঁচ থেকে ছয়টি দিন নির্ধারণ করেছেন। বায়ু ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে নিউইয়র্ক থেকে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল অথবা মরক্কোর উদ্দেশে এই যাত্রা হবে। নিউইয়র্কে পিকার্ড বলেন, এটি কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর মধ্যে ঢুকে পড়ার অনুভূতি জাগায়। কারণ আপনি সূর্যের দিকে তাকাচ্ছেন আর মনে মনে বলছেন-এটিই আপনার শক্তির একমাত্র উৎস। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, আপনি ডানে ও বাঁয়ে তাকালে দেখবেন চারটি পাখা ইলেক্ট্রিক্যাল মোটরে ঘুরছে, কিন্তু কোন আওয়াজ নেই। এটি আগামীর স্বপ্ন। নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আরও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার উৎসাহ দেয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পিকার্ড এবং সুইস উদ্যোক্তা ও প্রকৌশলী আন্দ্রে বর্সবার্গ বিশ্ব প্রদক্ষিণ করছেন এবং তিন ভাগের দুইভাগ পথ পার হয়েছেন। তাদের এক আসনবিশিষ্ট বিমানটির ওজন একটি প্রাইভেট কারের সমান। কিন্তু এর পাখার দৈর্ঘ বোয়িং ৭৪৭ এর মতো। ব্যাটারি পরিপূর্ণরূপে চার্জ হলে তারা রাতে যাত্রা শুরু করেন এবং ২৮ হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠেন। আর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত এই বিমান বাতাসের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে চলে। দিনে তা নেমে আসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুট উচ্চতায়। আবুধাবি থেকে ২০১৫ সালের ৯ মার্চ এই যাত্রা শুরু হয়। এ পর্যন্ত এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তারা এখন আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ফিরবেন। বিরূপ আবহওয়া মানিয়ে নিতে বিশেষভাবে তৈরি স্যুপ ও খাবার খান প্রত্যেক পাইলট। -এএফপি
×