ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবল শুরু, মোহামেডান ২-২ রহমতগঞ্জ

বাগে পেয়েও মোহামেডানকে হারাতে পারল না রহমতগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১১ জুন ২০১৬

বাগে পেয়েও মোহামেডানকে হারাতে পারল না রহমতগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ১২ দল নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মৌসুমের দ্বিতীয় ফুটবল আসর ‘ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ।’ এ যেন একই ম্যাচে বিপরীতমুখী দৃশ্য। আরেকটু হলেই নিজেদের নিকনেম ‘জায়ান্ট কিলার’ নামটির সার্থকতা প্রমাণ করে ফেলেছিল পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। খেলার শুরুতেই আগে গোল করে এগিয়ে গেলে ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড তো হারের শঙ্কায় কাঁপছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আবার অন্য চিত্র। টানা দুই গোল করে দারুণভাবে খেলায় ফেরে সাদা-কালো শিবির। ফলে রহমতগঞ্জই এবার হারের আশঙ্কায় থরথরি কম্পমান! মোহামেডান যখন জয়ের স্বপ্নে বিভার, তখনই আবার ‘আইলো’ এবং ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত রহমতগঞ্জ গোল শোধ করে জমিয়ে ফেলে ম্যাচটা। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে খেলা শেষ হলে জয়ের সমান ড্র এবং ড্রয়ের সমান হারের অনুভূতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ ছাড়ে উভয় দল। দিনের প্রথম ম্যাচে বিকেল ৪টায় ‘ডি’ গ্রুপে মোহামেডান-রহমতগঞ্জ ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। প্রথমার্ধে দারুণ খেলে রহমতগঞ্জ। প্রতিপক্ষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা গোল আদায় করে নেয় কোচ কামাল বাবুর শিষ্যরা। ম্যাচের তখন মাত্র ৩ মিনিট। কদিন আগে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলা তরুণ ফরোয়ার্ড সৈয়দ রাশেদ তূর্য বক্সের বাইরে থেকে কাটব্যাক করেন। বল রিসিভ করে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের গড়ানো প্লেসিং শটে মোহামেডানের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহালকে পরাস্ত করে উল্লাসে ফেটে পড়েন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিয়ো জুনাপিয়ো (১-০)। এরপর প্রায় হাফডজন সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি কাজী জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যরা। ৩৬ মিনিটে বল নিয়ে রহমতগঞ্জের বক্সে ঢুকে পড়েন মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। বলটা একটু বুঝে শুনে মারতে পারলেই নিশ্চিত গোল হতে পারত। কিন্তু সতীর্থদের মতোই এবারও বল বারের ওপর দিয়েই মারেন জনি। ৪৩ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রিকিক পায় রহমতগঞ্জ। কিন্তু বা প্রান্ত থেকে করা এলিটা বেঞ্জামিনের শট বক্সে পড়লে বল ক্লিয়ার করে মোহামেডানের রক্ষণভাগ। ৫৭ মিনিটে মোহামেডানের প্যাট্রিকের পাস থেকে বক্সে বল পেয়ে ডান পায়ের গড়ানো তীব্র শট করেন গিনি ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। কিন্তু বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৬৩ মিনিটে মোহামেডানের মাসুক মিয়া জনির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ফিরিয়ে দেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক আল আমিন। বল গিয়ে পড়ে ইসমাইল বাঙ্গুরার পায়ে। দেরি না করে রহমতগঞ্জের জালে বল পাঠান বাঙ্গুরা (১-১)। ৬৮ মিনিটে বক্সের ৩০ গজ দূরে ফ্রিকিক পায় মোহামেডান। সেনেগালের ডিফেন্ডার ইয়াইয়া সাইয়ের শট গিয়ে পড়ে রহমতগঞ্জের বক্সে। ব্যাক হিল করেন ইসমাইল বাঙ্গুরা। পোস্টের খুব কাছ থেকে বল রিসিভ করে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরোয়ার্ড শাহাদাত হোসেন শাহেদ (২-১)। ৮১ মিনিটে বক্সের দশ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের বাড়িয়ে দেয়া বলে দর্শনীয় শটে মোহামেডানের জাল কাঁপান জুনাপিয়ো (২-২)। ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান সিয়ো জোনাপিয়ো।
×