ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট লেকচার

পেশাদারিত্বের ডাক ম্যাককুলামের

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৮ জুন ২০১৬

পেশাদারিত্বের ডাক ম্যাককুলামের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট লেকচার’ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে আরও পেশাদারি হওয়ার আহ্বান জানালেন নিউজিল্যান্ড তারকা বেন্ডন ম্যাককুলাম। ক্রিকেট মক্কা লর্ডসের এ বক্তৃতায় ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে আইসিসির এই বিভাগকে আরও শক্তিশালী হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক কিউই অধিনায়ক। কথা বলেন তার ক্রিকেটীয় দর্শন নিয়েও। ‘ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থাকলে আমাদের উচিত খেলাটিকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে আন্তরিক হওয়া। এজন্য আইসিসিকে সর্বোচ্চ সামর্থ্য প্রয়োগ করতে হবে। দুর্নীতি দমন বিভাগকে আরও পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি সাবেক সতীর্থ ক্রিস কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে দেয়া সাক্ষ্যের প্রতি অবিচল মনোভাব ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, কেয়ার্নস এক সময় তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ম্যাককুলাম। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগসহ (আইপিএল) ক্যারিয়ারে একাধিকবার কেয়ার্নসের অনৈতিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ম্যাককুলাম। কাউড্রে বক্তব্যে ম্যাককুলাম ক্রিকেটের প্রতি তার গভীর ভালবাসা আর প্যাশনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ক্রিকেট কখনও জীবনের চেয়ে বড় হতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন ৩৪ বছর বয়সী ব্ল্যাক-ক্যাপস হিরো। এ বছর এমসিসির কলিন কাউড্রে বক্তৃতার জন্য নির্বাচিত হন ম্যাককুলাম। ঐতিহ্যবাহী বক্তৃতার আয়োজক ইংল্যান্ডের মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) পক্ষ থেকে কিউই তারকাকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট কাউড্রে লেকচার’-এ অংশগ্রহণের জন্য বেছে নেয়া হয়। ২০০১ সাল থেকে রিচি বেনো, নিউজিল্যান্ড গ্রেট মার্টিন ক্রো, পাকিস্তানের ইমরান খান ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা কাউড্রে বক্তব্যের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। বিশ্বজুড়ে এত সব ক্রিকেটার থাকতে কেন ম্যাককুলামকে বেছে নেয়া? ম্যাককুলামের নেতৃত্বে গত কয়েক মৌসুমে বিশ্ব ক্রিকেটে অভূতপূর্ব উন্নতি করে নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো খেলে বিশ্বকাপের ফাইনালে। গত বছর এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ‘স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’ পুরস্কার লাভ করেন ম্যাককুলাম। গত বছরই দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ‘অর্ডার অব মেরিট’ সম্মানেও ভূষিত হন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান সময়ের চিত্তাকর্ষক এই ব্যাটসম্যান। উল্লেখ্য, এমসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট কাউড্রে লেকচারে জাতীয়তা, ক্রিকেটীয় পটভূমি, স্পিরিট অব ক্রিকেট, ক্রিকেট খেলায় স্বচ্ছতা, সততা ও প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান ইত্যাদি নিয়ে বক্তৃতা দেন কিংবদন্তি তারকারা। ২০০১ সাল থেকে এই প্রথা চালু হয়। এসসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট কলিন কাউড্রে এবং এমসিসির আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট টেড ডেক্সটার ক্রিকেটীয় স্পিরিট ধরে রাখার লক্ষ্যে স্পিরিট অব ক্রিকেট কাউড্রে লেকচারের প্রবর্তন করেন।
×